আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবল লিগের একটি ম্যাচে ইসরায়েলবিরোধী প্রতিবাদের চরম বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। অল বয়েজ ও আটলান্টা ক্লাবের মধ্যকার ম্যাচকে ঘিরে ফ্লোরেস্তা এলাকার স্টেডিয়ামে সমর্থকদের তীব্র রাজনৈতিক অবস্থান ফুটে ওঠে।
ম্যাচ শুরুর আগে মুখোশ পরা অল বয়েজ সমর্থকরা কালো রঙের একটি কফিন বহন করে স্টেডিয়ামের বাইরে প্রবেশ করে, যেখানে আঁকা ছিল ইসরায়েল ও আটলান্টা ক্লাবের পতাকা।
স্টেডিয়ামের চারপাশে ছড়িয়ে দেওয়া হয় কালো ধোঁয়া। ম্যাচ চলাকালে গ্যালারিতে দেখা যায় ইরান ও ফিলিস্তিনের পতাকা, “ইসরায়েলি গণহত্যাকারী রাষ্ট্রের মৃত্যু হোক” লেখা ব্যানার এবং ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ বার্তাসহ লিফলেট বিতরণ।
ম্যাচের মাঝপথে একটি ফিলিস্তিন পতাকাবাহী ড্রোন মাঠের ওপর দিয়ে উড়ে গেলে খেলা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিতে হয়।
আতলান্তা ক্লাবটি আর্জেন্টিনার ইহুদি সম্প্রদায়ের ঐতিহাসিক সম্পর্কযুক্ত একটি দল, যা এই প্রতিবাদকে আরও রাজনৈতিকভাবে স্পর্শকাতর করে তোলে।
ঘটনার পরপরই বুয়েনোস আইরেস ফুটবল সিকিউরিটি কমিটি অভিযুক্ত পাঁচ সমর্থককে গ্রেপ্তার করে। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মেয়াদে স্টেডিয়ামে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
সেই সঙ্গে অল বয়েজ ক্লাবকে পরবর্তী দুই হোম ম্যাচে ড্রাম ও ব্যানার ব্যবহার থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে স্টেডিয়ামে বৈষম্যবিরোধী বার্তা প্রদর্শন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের প্রভাব শুধু ওই অঞ্চলে সীমাবদ্ধ নেই। আর্জেন্টিনার এই ম্যাচটি দেখিয়ে দিল, বিশ্বজুড়ে সাধারণ মানুষ বিশেষ করে তরুণরা মাঠে-মাঠে, গ্যালারিতে, এমনকি খেলাধুলার ভেতর দিয়েও রাজনৈতিক অবস্থান নিচ্ছে।
এই ঘটনা ২০২৩ সালের সেই একই দুই দলের ম্যাচের স্মৃতিও মনে করিয়ে দেয়, যেখানে একইরকম বিক্ষোভ দেখা গিয়েছিল।
এমএইচএম