ঢাকা, শুক্রবার, ১০ আশ্বিন ১৪৩২, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩ রবিউস সানি ১৪৪৭

ফুটবল

২০৩০ সালে ৬৪ দলের বিশ্বকাপ চায় কনমেবল, ফিফার সিদ্ধান্তের অপেক্ষা

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:৫৪, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৫
২০৩০ সালে ৬৪ দলের বিশ্বকাপ চায় কনমেবল, ফিফার সিদ্ধান্তের অপেক্ষা সংগৃহীত ছবি

ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো মঙ্গলবার নিউইয়র্কে কনমেবল সভাপতি আলেহান্দ্রো দোমিঙ্গেস এবং দক্ষিণ আমেরিকার তিন ফুটবল ফেডারেশনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আলোচনার মূল বিষয় ছিল ২০৩০ পুরুষদের বিশ্বকাপকে ৬৪ দলে সম্প্রসারণের প্রস্তাব।

চলতি বছরের মার্চে উরুগুয়ের এক প্রতিনিধি প্রথমবারের মতো অনলাইনে ফিফার নির্বাহী কাউন্সিল সভায় প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন। এবার নিউইয়র্ক বৈঠকে আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ের ফেডারেশন সভাপতি ছাড়াও প্যারাগুয়ের প্রেসিডেন্ট সান্তিয়াগো পেনা এবং উরুগুয়ের প্রেসিডেন্ট ইয়ামান্দু অরসি উপস্থিত ছিলেন। এটিই প্রথমবার, যখন কনমেবল সরাসরি ইনফান্তিনোর কাছে প্রস্তাব পেশ করল।

দোমিঙ্গেস বৈঠক শেষে সামাজিক মাধ্যমে লিখেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি ২০৩০ বিশ্বকাপ হবে ঐতিহাসিক! ধন্যবাদ ইনফান্তিনো, আমাদের স্বপ্নের এই যাত্রায় একাত্ম হওয়ার জন্য। ফুটবল যখন সবার সঙ্গে ভাগাভাগি হয়, তখন উদযাপন সত্যিকার অর্থেই বৈশ্বিক হয়ে ওঠে। ’

১৯৯৮ সালের পর প্রথমবার ২০২৬ বিশ্বকাপ ৩২ দলের পরিবর্তে ৪৮ দলে বাড়ছে। আর ২০৩০ আসর হতে যাচ্ছে ইতিহাসের সবচেয়ে বিস্তৃত আয়োজন—ছয়টি আয়োজক দেশ তিন মহাদেশে ছড়িয়ে থাকবে। আয়োজকরা হলো উরুগুয়ে, আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে, স্পেন, পর্তুগাল ও মরক্কো। উরুগুয়ে, যেখান থেকে ১৯৩০ সালে প্রথম বিশ্বকাপ শুরু হয়েছিল, সেখানেই আয়োজন হবে একটি ম্যাচ।

আর্জেন্টাইন ফেডারেশন সভাপতি ক্লদিও ‘চিকি’ তাপিয়া লিখেছেন, ‘ফিফা সম্মেলনে অংশ নেওয়া আমার জন্য সম্মানের। আমরা এই বৈঠক চেয়েছিলাম, যাতে আমাদের স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিতে পারে। আমরা এক পরিবার। ’

৬৪ দলের টুর্নামেন্ট হলে কনমেবলের ১০ সদস্য দেশই স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিশ্বকাপে জায়গা পেতে পারে। এখন পর্যন্ত একমাত্র ভেনেজুয়েলা ছাড়া সব দেশ অন্তত একবার বিশ্বকাপে খেলেছে।

দোমিঙ্গেসের মতে, ‘এটি শতবর্ষী আসর, তাই একে সাধারণ বিশ্বকাপ হিসেবে দেখা যাবে না। আমাদের স্বপ্ন হলো—গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলো উরুগুয়ে, আর্জেন্টিনা ও প্যারাগুয়েতে আয়োজন করা। ’

৬৪ দলের টুর্নামেন্ট হলে মোট ম্যাচ দাঁড়াবে ১২৮—যা বর্তমান ৬৪ ম্যাচের দ্বিগুণ। ইউরোপীয় ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফার সভাপতি আলেক্সান্দার সেফেরিন এ প্রস্তাবকে ‘খারাপ ধারণা’ আখ্যা দিয়েছেন। সমালোচকরা মনে করেন, এতে খেলার মান কমবে এবং বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের গুরুত্ব কমে যাবে।

এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।