ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৩ আশ্বিন ১৪৩২, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৬ রবিউস সানি ১৪৪৭

ফুটবল

হংকংয়ের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বাংলাদেশের লক্ষ্য একটাই, ‘জয়’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১:৩১, অক্টোবর ৮, ২০২৫
হংকংয়ের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বাংলাদেশের লক্ষ্য একটাই, ‘জয়’ ছবি: বাফুফে

৪৫ বছরের দীর্ঘ অপেক্ষার পর আবারও এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলার স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ। সেই স্বপ্নপূরণের পথে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হতে যাচ্ছে আগামীকাল হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচ।

এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের এই লড়াইটি বাংলাদেশের জন্য প্রায় ‘বাঁচা-মরার’ ম্যাচে পরিণত হয়েছে। এই ম্যাচে হার মানেই প্রায় নিশ্চিতভাবে বিদায়।

এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে আজ সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের প্রস্তুতি, আত্মবিশ্বাস এবং পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেন বাংলাদেশের স্প্যানিশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা ও অধিনায়ক জামাল ভূইয়া। দুজনেই ম্যাচ ঘিরে আশাবাদ ও দৃঢ় বিশ্বাসের কথা জানান।

কোচ কাবরেরা বলেন, ‘আমরা জানি আমাদের সক্ষমতা আছে, ইতিহাস গড়তে পারি। স্কোয়াডের গুণগত মান নিয়ে আমি সবসময়ই সন্তুষ্ট। তবে সাম্প্রতিক কিছু নতুন সংযোজন, বিশেষ করে হামজা চৌধুরী ও শমিত সোম আমাদের আরও শক্তিশালী করেছে। ’ তিনি মনে করেন, নতুনদের আগমনে দলের ভারসাম্য ও অভিজ্ঞতা বেড়েছে, যা এই ধরনের বড় ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

গত দশ দিন ধরে কঠোর অনুশীলনের মধ্য দিয়ে প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশ দল। কোচ জানান, খেলোয়াড়রা খুব মনোযোগী এবং জানে এই ম্যাচের গুরুত্ব কতটা, ‘সবদিক থেকে প্রস্তুতি সন্তোষজনক। ’

অধিনায়ক জামাল ভূইয়া বলেন, ‘আমরা হংকং দলের শক্তি ও দুর্বলতা বিশ্লেষণ করেছি। সেই অনুযায়ী কাজ করেছি। প্রস্তুতি ভালো হয়েছে, সবাই আত্মবিশ্বাসী। ’

হংকং দলে বেশ কয়েকজন ন্যাচারালাইজড (অন্যান্য দেশের বংশোদ্ভূত) খেলোয়াড় থাকলেও তা নিয়ে চিন্তিত নন কাবরেরা, ‘প্রতিপক্ষ একজন নয়, একটি দল। তাদের দলে যেই থাকুক না কেন, আমাদের প্রস্তুতির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে পুরো হংকং দল। ’

তিন বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের দায়িত্বে থাকা কোচ কাবরেরা এখনো পর্যন্ত বড় কোনো আন্তর্জাতিক শিরোপা বা সাফল্য এনে দিতে পারেননি। তার অধীনে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সাফল্য ছিল সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনাল খেলা। তাই হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচটি কোচের নিজের জন্যও এক ধরনের পরীক্ষা।

তিনি বলেন, ‘এটা অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং। শুধু এই ম্যাচ নয়, সামনে আরও গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ আছে— অ্যাওয়ে ম্যাচ হংকংয়ের সঙ্গে, তারপর ভারতের সঙ্গে হোম ম্যাচ। তবে আমরা যদি নিজেদের সামর্থ্যের সর্বোচ্চটা দিতে পারি, তাহলে এই তিন ম্যাচ থেকেই ভালো ফল পাওয়া সম্ভব। ’

দক্ষিণ এশিয়ার বাইরে দলের বিপক্ষে জয় পেতে বাংলাদেশ ফুটবল অনেকদিন ধরেই ব্যর্থ। এবার সেই ব্যর্থতার ধারা ভাঙতে চান কাবরেরা, ‘এই মুহূর্তে আমরা কোয়ালিটিতে পিছিয়ে নেই। দরকার শুধু একটি জয়, যেটা দলকে আত্মবিশ্বাস দেবে এবং নিজেদের প্রতি বিশ্বাস আরও বাড়াবে। ’

বর্তমান অবস্থায় ‘ডি’ গ্রুপে দুই ম্যাচ শেষে সিঙ্গাপুর ও হংকংয়ের পয়েন্ট ৪ করে, আর বাংলাদেশ ও ভারতের পয়েন্ট ১ করে। কাল যদি বাংলাদেশ হংকংয়ের কাছে হারে, তাহলে পয়েন্ট ব্যবধান দাঁড়াবে ৬, যা ঘোচানো প্রায় অসম্ভব। কারণ, চার দলের এই গ্রুপ থেকে কেবল শীর্ষ দলটিই এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলার সুযোগ পাবে।

এআর/আরইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।