ঢাকা, সোমবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

ফুটবল

ফুটবলারদের মজার নাম: মাতা-পিতা-বেটা-বেটি-দাদা-নান‍া...

হুসাইন আজাদ, নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১০ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৪
ফুটবলারদের মজার নাম: মাতা-পিতা-বেটা-বেটি-দাদা-নান‍া...

ঢাকা: সাম্বার দেশ ব্রাজিলের ফুটবল উৎসবের উন্মাদনায় ভাসছে পুরো বিশ্ব। প্রতি চার বছর পর পর বসা ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে নতুন করে সবার সঙ্গে পরিচতি হন নতুন নতুন খেলোয়াড়রা।

মাঝে-মধ্যে এমন এমন নামের সঙ্গে পরিচিত হতে হয় যে, নাম নিয়েই অনেক সময় ফুটবল সমর্থকদের মধ্যে গবেষণা শুরু হয়ে যায়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ছবি নজরে আসার পর ফুটবলারদের এমন মজার মজার নাম গবেষণা করে একটি পরিবারের কাঠামোই দাঁড় করিয়ে ফেলেছে বাংলানিউজ।

এবারে পরিচিত হওয়া যাক ফুটবলীয় পরিবারের মাতা-পিতা-বেটা-বেটি-দাদা-দাদি-নানা-নানি-মামা-মামি-মাসি-কাকা-চাচা-শালা-শালি-মাইয়‍া-বুয়ার সঙ্গে!

প্রথমেই মাতা। ফুটবলীয় পরিবারের ‘মাতা’ হলেন স্প্যানিশ অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার জোয়ান মাতা। কখনো কখনো সদ্য বিদায়ী ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন স্পেন দলে উইঙ্গার পজিশনেও খেলেন তিনি


এরপরই পিতা। ফুটবলীয় পরিবারের ‘পিতা’ হলেন পর্তুগিজ লেফট ব্যাক ইগোর পিতা।



ফুটবলীয় পরিবারের ‘দাদা’ হলেন দক্ষিণ সুদানের মিডফিল্ডার ডেভিড দাদা।

তবে কেবল ডেভিডই নয়, আরও ক’জন দাদা রয়েছেন ফুটবলীয় পরিবারে। এরা হলেন-ব্রাজিলিয়ান দলের দাদা মারবিলহা, ভারতের মোহাম্মেদ দাদা নাবিল ও যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ালে দাদা।

ফুটবলীয় পরিবারের ‘দাদি’ হলেন ইউজেনে দাদি। আইভরি কোস্টের এ ফুটবলার জাতীয় দলে খেলেন স্ট্রাইকার হিসেবে।




আর ফুটবলীয় পরিবারের নানা হলেন ঘানার শেঠ নানা তুমাসি। জাতীয় দলের  এ ডিফেন্ডার ছাড়া আরও ক’জন নানা রয়েছেন ফুটবল পরিবারে। এদের একজন হলেন ঘানা দলেরই আক্বাসি আসারে। অপরজন ড্যানিশ বংশোদ্ভূত ঘানাইয়ান ফুটবলার প্রিন্স নানা।


নানার সঙ্গে ফুটবল দলে নানিও রয়েছেন। ফুটবলীয় পরিবারের ‘নানি’ হলেন পর্তুগিজ উইঙ্গার লুইজ কার্লোজ আলমেইদা দ্য কুনহা নানি।




ফুটবলীয় পরিবারের ‘কাকা’ ব্রাজিলের রিকার্দো কাকা। অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হিসেবে ব্রাজিলের পক্ষে দীর্ঘদিন মাঠ কাঁপিয়েছেন তিনি।



এ পরিবারের ‘বেটা’ হলেন রোমানিয়ান ফুটবল দলের ডিফেন্ডার মারিয়ান ডিয়ান বেটা।




আর ‘বেটি’ হলেন ব্রাজিলের গোলরক্ষক আলেসান্দ্রো বেটি রোসা।



ফুটবলীয় পরিবারে বেটা-বেটিদের ‘মামা’ হিসেবে রয়েছেন মালির ফুটবল দলের স্ট্রাইকার মামা সিদিবে।



রয়েছেন ‘মামি’ও। এ  ‘মামি’ হলেন জাপানি নারী ফুটবলার মামি ইয়ামাগুচি। মামি কখনো অ্যটাকিং মিডফিল্ডার আবার কখনো ফরোয়ার্ড পজিশন নিয়ে খেলেন।


ফুটবলীয় পরিবারের ‘শালা’ হলেন সুইজারল্যান্ড দলের মিডফিল্ডার রজত শালা।




আর ‘শালি’? ‘শালি’ও রয়েছেন ফুটবলীয় পরিবারে। তিনি হলেন মালয়েশিয়ান ফুটবল দলের সাফী শালি। স্ট্রাইকার পজিশনে জাতীয় দলে খেলেন তিনি।




ফুটবলীয় পরিবারের ‘মাসি’ হলেন ইতালিয়ান ফুটবল দলের ডিফেন্ডার আলবার্তো মাসি।



আর ‘চাচা’ হলেন বলিভিয়ান ফুটবল দলের ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার রাউল কাস্ট্রো চাচা।

অবশ্য চাচা কেবল রাউলই নন, ফুটবলীয় পরিবারে চাচা আছেন আরও ক’জন। এরা হলেন ইরান দলের ফরোয়ার্ড/মিডফিল্ডার চাচা নামদার এবং জাপানি ফুটবলার চা চা।

ফুটবলীয় পরিবারে ‘মাইয়া’ও রয়েছেন একজন। তিনি হলেন ব্রাজিল দলের অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার আর্থার ব্রাজিলিয়ানো মাইয়া।



অত্তো বড়ো পরিবারে একজন বুয়া থাকবে না। আছেন, বুয়াও আছেন। ‍ফুটবলীয় পরিবারের ‘বুয়া’ হলেন ইতালিয়ান অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার অ্যান্তনিও বুয়া!

সব পজিশনের খেলোয়াড় থাকায় এই ‘পরিবার’ যদি আলাদা একটি টিম গঠন করে খেলে কেউ কি রুখতে পারবে দলটিকে?

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৬ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।