ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

ড্র’তে শুরু হলো মোহামেডানের প্রিমিয়ার লিগ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৬
ড্র’তে শুরু হলো মোহামেডানের প্রিমিয়ার লিগ ছবি: উজ্জ্বল ধর-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম থেকে: প্রত্যাশিত জয় পেল না দেশের ঐহিত্যবাহী দল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। জেবি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলে এই মৌসুমে নিজেদের প্রথম ম্যাচে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটির সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেই সন্তুষ্ট থাকতে হলো সাদা কালো শিবিরকে।


 
মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটির মধ্যকার ম্যাচের প্রথমার্ধের ১৮ মিনিটের কথা। মাঝমাঠ থেকে বেশ গোছালো আর দ্রুত গতির এক আক্রমণ রচনা করে রহমতগঞ্জ মিডফিল্ডার নয়ন গিয়েছেন মোহামেডান গোলবারের ডি-বক্সের ভেতরে।

সেখানে গিয়ে যখন বুঝলেন তিনি জালে বল জড়াতে পারবেন না তখন বাঁ দিকে তুলে দিলেন ক্রস। সেই ক্রস থেকে কৌশলী শটে গোলরক্ষক নেহালকে সম্পুর্ণ পরাস্ত করে জালে বল জড়িয়ে দলকে ১-০ তে এগিয়ে দিয়ে সাইয়ো জুনাপিও ডিগবাজি খেতে লাগলেন।

শুধু তখনই নয়, জেবি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচের পুরো প্রথমার্ধে এমনই আক্রমণাত্নক ও গতিময় খেলা উপহার দিয়েছে রহমাতগঞ্জ। যেখানে দেশের ঐহিত্যবাহী দল মোহামেডানকে মনে হয়েছে প্রাণহীন। যেন তারা ছন্দ হারিয়েছে।

মোহামেডানকে এমন ছন্দহীন মনে হবার কারণটিও সঙ্গত। কেননা ২৫ মিনিটে রহমতগঞ্জ ডি-বক্সের একেবারে ভেতরে গোল রক্ষককে একা পেয়েও সমতায় ফেরার সুবর্ণ সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি ইসমাইল বাঙ্গুরা। কেননা গোল পোষ্টে তিনি যে শট নিয়েছিলেন সেটি ছিল যথেষ্টই দুর্বল যা রহমতগঞ্জ গোলরক্ষক প্রতিহত করেছেন বেশ সানন্দেই।

মোহামেডানের এমন দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে দারুণ একট একটি আক্রমণ রচনা করে রহমতগঞ্জ প্রথমার্ধেই ব্যবধান আরও বাড়াতে চেয়েছিল কিন্তু তারা সেই লক্ষ্যে সফল না হলে ১-০ তে এগিয়ে থেকেই যায় বিরতিতে।

 
বিরতি থেকে কৌশল বদলায় রহমতগঞ্জ। প্রথমার্ধে আক্রমণাত্নক দলটি দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে থাকে রক্ষণাত্নক। আর সেই সুযোগে মুহূর্মুহূ আক্রমণের সুযোগ পায় সাদা কালো শিবির। দ্বিতীয়ার্ধের ৫৩ মিনিটে দলটির তেমনই এক আক্রমণ রচনা করে ইসমাইল বাঙ্গুরা দলকে সমতায় ফেরাতে চেয়েছিলেন কিন্তু এবারও তাদের বাধা হয়ে দাঁড়ালেন গোলরক্ষক মাসুম।

দ্বিতীয়ার্ধে জসিমউদ্দিন জোসির শিষ্যদের সব চাইতে সুবর্ণ সুযোগটি এসেছিলো ৬৯ মিনিটে। মোহামেডানের আক্রমণ প্রতিহত করতে গোলরক্ষক সবুজ গোলবার ছেড়ে উঠে এসেছিলেন ডি-বক্সের বেশ বাইরে। ফলে ডি বক্স খালিই পড়ে ছিল। পরিতাপের বিষয় হলো, সেই সুযোগটিও কাজে লাগাতে পারেনি মোহমেডানের সজিব।

তবে শেষ পর্যন্ত গোল দেবী মোহামেডানের প্রতি মুখ তুলে তাকিয়েছেন। ৮০ মিনিটে বেশ পরিচ্ছন্ন এক আক্রমণ রচনা করে মোহামেডান যায় রহমতগঞ্জ শিবিরে। সেখানে ডি-বক্সের ভেতরে রহমতগঞ্জ রক্ষণভাগ সাদা কালোদের প্রতিহত করতে এলে তৈরী হয় জটলার। আর সেই জটলার মধ্যে রহমতগঞ্জ রক্ষণবাগের হতে বল লাগলে পেনাল্টি পায় মোহামেডান।

এরপর পেনাল্টি থেকে জালে বল ঠেলে দলকে সমতায় ফেরান ইসমাইল বাঙ্গুরা।

সমতায় ফিরে দু’দলই চেয়েছে ব্যবধান বাড়াতে কিন্তু খেলার নির্ধারিত সময় পর্যন্ত সেটা না হলে সমতা নিয়ে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই মাঠ ছাড়তে হয় মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটিকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৬ ঘণ্টা, ২৫ জুলাই, ২০১৬
এইচএল/এমআরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।