ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

যুবাদের নিয়ে বিশেষ ক্যাম্পের চিন্তা বাফুফের

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০২ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৭
যুবাদের নিয়ে বিশেষ ক্যাম্পের চিন্তা বাফুফের যুবাদের নিয়ে বিশেষ ক্যাম্পের চিন্তা বাফুফের

জাতীয় দলের ৬১ খেলোয়াড়কে নিয়ে শারীরিক কন্ডিশনিং ক্যাম্প আয়োজন করা হয়েছিল, যা শেষ হয় ফেব্রুয়ারি ১২ তারিখে। এবার যুব খেলোয়াড়দের নিয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা বাফুফে।

শনিবার (১১ মার্চ) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন বাফুফের সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন আহমেদ। শনিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করার কথা ছিল তার।

কিন্তু পরে তা বাতিল করা হয়।

ভবিষ্যত খেলোয়াড় তৈরির লক্ষ্যে যুবাদের প্রশিক্ষণ দেবে বাফুফে। বিবৃতিতে বাফুফে জানায়, জাতীয় ফুটবল দলের ৬১ জন সদস্য বিকেএসপিতে ১২ দিন ধরে একটি শারীরিক কন্ডিশনিং ক্যাম্পে অংশগ্রহণ করে। আমরা শিগগিরই অনূর্ধ্ব-১৪, ১৬ এবং ১৯ যুবা দলের জন্য একই ধরনের ক্যাম্প আয়োজন করব। যে নামেই ডাকা হোক না কেন – ক্যাম্প, ট্রেনিং, ওয়ার্কশপ বা একাডেমি সকল সুযোগসুবিধা সম্বলিত রেসিডেন্সি ক্যাম্পগুলো এলিট খেলোয়াড় উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাবে এবং তা দেশের ভবিষ্যতের ফুটবলার প্রস্তুত করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এছাড়াও এই বছরের সেপ্টেম্বরে থাইল্যান্ডে বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব খেলতে যাবে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী দল। তার জন্যও এই উদ্যোগ থাকবে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এলিট রেসিডেন্সি প্রোগ্রামের লক্ষ্য এবং একাডেমির যে লক্ষ্য থাকে, তা মূলত একই। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৬ মহিলা দল এ বছরের সেপ্টেম্বরে থাইল্যান্ডে বিশ্বকাপ কোয়ালিফাইং রাউন্ড খেলার জন্য রেসিডেন্সি প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করছে বাফুফে ভবনে।

এই ক্যাম্পে খেলোয়াড়দের আটটি বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ দেয়া হবে বলে জানানো হয়, ‘ইনজুরি প্রতিকার, রিকভারি, খেলার বিভিন্ন অনুশীলন, টেকনিক্যাল অ্যাবিলিটি, খেলার কৌশল, শারীরিক শক্তি, কন্ডিশনিং ফরম্যাট, শারীরিক পরীক্ষা এবং শারীরিক ভারসাম্য ও ফ্লেক্সিবিলিটি – এই ৮টি মূল স্তম্ভের উপর ক্যাম্পে জোর দেয়া হবে। মূল লক্ষ্য থাকবে তাদের যেন স্কিল এবং শক্তি দুটোই উন্নতি হয়।

গত মাসে সিনিয়র খেলোয়াড়দের নিয়ে এখন ঠিক কি করা হবে তার কোনো নির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা নেই। তবে শিগগিরই তাদের নিয়ে আবারো ক্যাম্প করবে বলে জানানো হয়েছে। কবে থেকে শুরু হচ্ছে সেটিও নির্দিষ্ট করা হয়নি।

বিবৃতিতে অনূর্ধ্ব-১৫ ট্যালেন্ট হান্ট নিয়ে বলা হয়েছে, ঢাকাতে অনূর্ধ্ব-১৫ ট্যালেন্ট হান্ট শুরু হওয়ার পর অন্যান্য জেলায় ট্রায়াল শুরু হয়েছে। বাফুফের কোচরা সকল বিভাগ থেকে ২৫ সদস্যের দল গঠন করে, যারা ঢাকায় এসে একে অপরের সাথে প্লেঅফে অংশগ্রহণ করে। তার মধ্যে বরিশাল চ্যাম্পিয়ন হয় এবং দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে ময়মনসিংহ। এই প্রতিযোগিতার মূল লক্ষ্য ছিল বয়সভিত্তিক স্কাউট করে বিকেএসপি অনূর্ধ্ব-১৬ একাডেমির জন্য যুবাদের বেছে নেওয়া।

মখ কাপ দল থেকে বাছাইকৃত খেলোয়াড় বিকেএসপিতে অংশগ্রহণ করবে বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে। যেসব তরুণ মালয়েশিয়ার সুপার মখ কাপ প্লেট চ্যাম্পিয়ন হয়ে এসেছে, তারা প্রতিযোগিতার আগে স্বল্প সময়ের জন্য একটি রেসিডেন্সি ক্যাম্পে ছিল। এখন থেকে যে দীর্ঘ মেয়াদের ক্যাম্পের কথা ভাবা হচ্ছে তারই একটি হবে এই যুবা দলের প্রশিক্ষণ। অনূর্ধ্ব-১৫ থেকে উঠে আসা নতুন খেলোয়াড়দের পাশাপাশি মখ কাপে অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়রাও বিকেএসপি একাডেমিতে অংশগ্রহণ করবে।

গত পরশু থেকে শুরু হওয়া সোহরাওয়ার্দী কাপ নিয়ে বলা হয়, জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৮ দলের চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হয়েছে মার্চের ৯ তারিখ থেকে। ফেডারেশন ইতোমধ্যেই প্রতিটি জেলায় কোচদের পাঠিয়েছে যেন প্রতিযোগিতার জন্য সেরা দলগুলোকে বেছে নেওয়া যায়। মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে এই প্রতিযোগিতা সমগ্র দেশ জুড়ে চলবে এবং অবশ্যই দারুণ ফুটবল উপহার দেবে। তার চেয়েও বড় কথা, এই প্রতিযোগিতা আরও অনেক তরুণ ফুটবলার খুঁজে বের করতে সাহায্য করবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, ১১ মার্চ ২০১৭
জেএইচ/এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।