কাতারে বিশ্বমঞ্চ বসার মাধ্যমে ২০০২ সালের পর আবারো এশিয়ার কোনো দেশে বসতে যাচ্ছে ফুটবলের মহাযজ্ঞ। আরব অঞ্চলে এটিই হবে প্রথম ফুটবল বিশ্বকাপ।
সোমবার (৫ জুন) সকালে কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা আসে একে একে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), মিশর, বাহরাইন ও ইয়েমেনের তরফ থেকে। দ্বীপ রাষ্ট্র মালদ্বীপও সৌদির সিদ্ধান্ত অনুসরণের পথ বেছে নেয়। ইতোমধ্যে কাতার সীমানার ওপর দিয়ে উড়োজাহাজ চলাচলও বন্ধ করে দিয়েছে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিশর।
কাতার ইস্যুতে দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে পড়ছে পুরো বিশ্ব। তাতে দেশটিতে আগামী ২০২২ সালের বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজন নিয়ে তৈরি হচ্ছে শঙ্কা। ইতোমধ্যেই স্টেডিয়াম নির্মাণ, অবকাঠামো উন্নয়নসহ বিভিন্ন কাজ শেষ করার পথে রয়েছে কাতার।
এদিকে, আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা তৈরি করায় কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কচ্ছেদের ঘোষণায় দেশগুলোর তরফ থেকে স্থল, জল ও আকাশসীমায় যোগাযোগ ছিন্ন করার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়। তবে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা, ফিফা এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘আমরা এই ইস্যুতে কোনো কথা বলতে চাই না। তবে এটা জানিয়ে রাখছি, কাতারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ অব্যাহত রাখা হবে। ’
ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ) কোনো মন্তব্য করেনি। তবে, জার্মান ফুটবল সংস্থার (ডিএফবি) প্রেসিডেন্ট রেইনহার্ড গ্রিন্ডেল জানিয়েছেন, ‘আমার এ ব্যাপারে জার্মান সরকার আর উয়েফার সঙ্গে আলোচনায় বসবো। বিশ্বব্যাপী ফুটবল সম্প্রদায়ের এই বিষয়ে একমত হওয়া উচিত। রাজনৈতিকভাবেই এই সমস্যার সমাধান বের হবে বলে আমরা আশাবাদী। তবে, এমন কোনো দেশে বড় টুর্নামেন্ট আয়োজন করা উচিৎ না, যারা সরাসরি সন্ত্রাসকে সমর্থন দেয়। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৩ ঘণ্টা, ০৬ জুন ২০১৭
এমআরপি