ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

নতুন কোচের চোখ ঘরোয়া ফুটবলে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৫ ঘণ্টা, জুন ৬, ২০১৭
নতুন কোচের চোখ ঘরোয়া ফুটবলে নতুন কোচের চোখ ঘরোয়া ফুটবলে

ভরাডুবির মহাসমুদ্রে হাবুডুবু খাওয়া ফুটবলকে টেনে তুলতে একজন প্রকৃত ‘পাঞ্জেরি’ খুঁজছিলো বাফুফে। অস্ট্রেলিয়ান কোচ অ্যান্ড্রু ওর্ডকেই মনে ধরেছে দেশের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার।

অনূর্ধ্ব-২৩ ও জাতীয় দলের কোচ হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছেন এই ৩৭ বছর বয়সী নতুন কোচ। এক বছর মেয়াদে নিয়োগপ্রাপ্ত এই কোচের দায়িত্ব হবে দেশের ফুটবলের পুরনো ঐতিহ্য ফেরানো।

সেটা এই নতুন কোচ পারবেন কী? এমন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে অনেকবারই। কারণ যে দুই দলের জন্য তাকে দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে সেই দুই দলের দৃশ্যত কোনো উপস্থিতি নেই। অর্থাৎ এখনও এমন কোনো দলই গঠন করতে পারেনি বাফুফে।
 
চলতি বছরের অক্টোবরে অনূর্ধ্ব-২৩ ও ১৯ এএফসি কাপের টুর্নামেন্ট, এরপর সাফ টুর্নামেন্ট ও এই এক বছরে বিভিন্ন সময়ে জাতীয় ফুটবল দলের ম্যাচের আয়োজনে কোচের পারফরম্যান্স লক্ষ্য করা যাবে। তার আগে আপাতত খেলোয়াড় বাছাই-যাচাইয়ে মনোযোগ থাকছে এই নবাগত কোচের।       

সেই ফেব্রুয়ারি-মার্চে বিকেএসপিতে প্রশিক্ষণ ক্যাম্প হয়েছে ৬০ জনের। এশিয়ার দেশগুলো থেকে দেশের খেলোয়াড়দের পার্থক্য নিরুপনে ভালো টাকা খরচ করে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ বের করেছে বাফুফে। সেটা সাহায্য করতে পারে এই কোচকে। তবে, ক্যাম্প শেষে বাকি তিন মাস এই খেলোয়াড়দের কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি। লাপাত্তা বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের। ক্যাম্পের বেশিরভাগ খেলোয়াড় এখন দেশের ঘরোয়া ফুটবল নিয়ে ব্যতিব্যস্ত।

তাই নতুন কোচের নজর থাকবে দেশের ঘরোয়া ফুটবলের উপর। ঘরোয়া ফুটবলের সেরা খেলোয়াড়দের বের করে নিয়ে এসে ঝালিয়ে নিতে চান ওর্ড। তবে তার জন্য খেলোয়াড়দের কয়েকটি গুণ থাকা চাই বলে মনে করছেন এই কোচ, ‘আমি আশা করবো ফুটবলারদের টেকনিক্যাল জ্ঞান থাকবে এবং একই সাথে তারা সৃষ্টিশীলও হবে। ডিফেন্সে শক্তিমত্তা বাড়ানোর পাশাপাশি প্রতিপক্ষের সীমান্তে আক্রমণের কৌশলেও উন্নতি আনতে হবে। ’

অন্যদিকে জাতীয় দলের হয়ে কোচিংয়ের অভিজ্ঞতা নেই এই কোচের। তাই বাংলাদেশের খেলার ধরন, দেশের ঘরোয়া ফুটবল দর্শন ইত্যাদির সঙ্গে মানিয়ে নিতে কী পারবেন তিনি? উত্তরটা তার মুখেই শুনুন, ‘ফুটবলারদের সঙ্গে কাজ করা এবং ফিফা থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রীতি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাওয়া গেলে আমার জন্য মানিয়ে নিতে তেমন অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। ’

তাই অনূর্ধ্ব-১৯ ও ২৩ দল এবং জাতীয় ফুটবল দলের জন্য খেলোয়াড় বাছাইয়ের জন্য কোচের চোখ থাকবে ঘরোয়া ফুটবলের উপরই, ‘আমার কাজ আপাতত অ-২৩ এবং অ-১৯ দলের এএফসি কোয়ালিফায়ারস নিয়ে ভাবা এবং ঘরোয়া প্রতিযোগিতাগুলো থেকে জাতীয় দলে খেলার যোগ্য ফুটবলার তুলে আনা। এর মধ্যেই বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ এবং সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ চলে আসবে এবং এতে আমাদের ভালো করতে হবে। ফুটবলে ১২ মাস লম্বা সময় এবং আমি এখন তা নিয়েই ভাবছি। ’

একইসঙ্গে স্থানীয় কোচের সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি। অতীত ভুলে সামনে এগিয়ে যেতে সবাইকে পাশে চান তিনি, ‘আমি চাইবো অতীতের সবকিছু পেছনে ফেলে খেলোয়াড়েরা একই লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে আসুক। ’

খেলোয়াড় বাছাই-যাচাই, তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, সঙ্গে দল গঠন করে মাঠে নামানো। এর মধ্যে এএফসি টুর্নামেন্টের (অ-২৩ ও ১৯) জন্য মাত্র তিন মাস পাবেন তিনি। এরমধ্যে জাতীয় দল গঠন করতে হবে। এত কাজ এই কয়দিনের মধ্যে করাটাও ওর্ডের জন্য চ্যালেঞ্জ হবে না কি?

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৪ ঘণ্টা, ০৬ জুন, ২০১৭
জেএইচ/এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।