ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

নিরাপদেই থাইল্যান্ডে পৌঁছেছে টাইগ্রেসরা

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৯, ২০১৭
নিরাপদেই থাইল্যান্ডে পৌঁছেছে টাইগ্রেসরা ছবি: সংগৃহীত

থাইল্যান্ডের চনবুরিতে ১০-২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ মহিলা ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ-২০১৭। গেল বছর বাছাইপর্বের ‘সি’ গ্রুপ থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়ে বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এই টুর্নামেন্টের মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবল দল।

এই টুর্নামেন্টে অংশ নিতে শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) থাইল্যান্ডের বিমান ধরে বাংলাদেশ দল। নিরাপদেই সেখানে পৌঁছেছে টাইগ্রেসরা।

থাইল্যান্ডে যাওয়ার আগে বাংলাদেশ দলের কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটন ও অধিনায়ক কৃষ্ণা রাণী সরকার ভালো খেলা উপহার দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। জানিয়েছেন ভয়কে জয় করার কথা।

থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের গ্রুপে (বি) রয়েছে টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন উত্তর কোরিয়া, রানার-আপ জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিশালী দল। কোরিয়া ও জাপান চ্যাম্পিয়ন ও রানার-আপ হিসেবে এই টুর্নামেন্টে সরাসরি খেলছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের মতো বাছাইপর্ব পেরিয়ে এসেছে অস্ট্রেলিয়া।

বাংলাদেশ যেমন ‘সি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়ে মূলপর্বে এসেছে। তেমনি অস্ট্রেলিয়া ‘ডি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে এসেছে। বাছাইপর্বে ৫ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া গোল করেছিল ৬৫টি। আর গোল হজম করেছিল ১টি। অন্যদিকে বাছাইপর্বে ৫ ম্যাচে বাংলাদেশ গোল করেছিল ১৬টি। গোল হজম করেছিল ২টি। শক্তিমত্তায় বাংলাদেশের চেয়ে বাকি তিন দলই বেশ এগিয়ে।  

১০ সেপ্টেম্বর টুর্নামেন্টের পর্দা উঠলেও পরদিন মাঠে নামবে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ বর্তমান চ্যাম্পিয়ন উত্তর কোরিয়া। ১৪ সেপ্টেম্বর রানার-আপ জাপানের মুখোমুখি হবে। ১৭ সেপ্টেম্বর গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশের মেয়েরা।

দুই গ্রুপের শীর্ষ চারটি দল সেমিফাইনালে উঠবে। সেখান থেকে সেরা দুটি দল ফাইনাল খেলবে। চ্যাম্পিয়ন, রানার-আপ ও তৃতীয় স্থান অধিকারকারী দল অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের টিকিট পাবে।

বাংলাদেশ দল:
গোলরক্ষক: মাহমুদা আক্তার, রোকসানা বেগম ও রূপা আক্তার।
রক্ষণভাগ: মাসুরা পারভীন, নারগিস খাতুন, শামসুন্নাহার, শিউলি আজিম, নিলুফা ইয়াসমিন নিলা, আনাই মগিনি ও নাজমা।
মাঝমাঠ: মিশরাত জাহান মৌসুমী, মারজিয়া, সানজিদা আক্তার, মনিকা চাকমা, ইসরাত জাহান রত্না, তহুরা খাতুন, আখি খাতুন, রাজিয়া খাতুন ও মারিয়া মান্ডা (সহ-অধিনায়ক)।
আক্রমণভাগ: কৃষ্ণা রানী সরকার (অধিনায়ক), আনুচিং মগিনি, সিরাত জাহান স্বপ্না ও সুলতানা।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭
এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।