ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

পুরস্কার পাবেন না জেনেই অনুষ্ঠানে যাননি রোনালদো!

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৯
পুরস্কার পাবেন না জেনেই অনুষ্ঠানে যাননি রোনালদো! সোফায় বসে বই পড়ায় মনোযোগী রোনালদো। ছবি:সংগৃহীত

ফিফা বর্ষসেরার পুরস্কার বেস্ট অ্যাওয়ার্ডের প্রথম দু’বারের ট্রফি জিতেছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। তৃতীয়বার লুকা মদ্রিচ, আর সর্বশেষ এবার জিতলেন লিওনেল মেসি। ব্যাপারটা পরিস্কার করা যাক, ২০১০ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ফ্রান্সের ফুটবল ম্যাগাজিন ব্যালন ডি’অরের সঙ্গে একীভূত হয়ে ফিফা বর্ষসেরার পুরস্কার দিয়ে এসেছিল।

তবে ২০১৫’র পর থেকে আবার আলাদা হয়ে যায় সংস্থা দুটি। এরপর ফিফা পুরস্কারটির নাম দেয় দ্য বেস্ট।

আর এবারই প্রথমবারের মতো এই অ্যাওয়ার্ডটি ঘরে তুললেন বার্সেলোনার আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। মেসির এমন প্রাপ্তি অবশ্য স্বাভাবিকভাবেই মেনে নিতে পারেননি তার ফুটবল ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী রোনালদো। তাইতো পুরস্কার পাবেন না জেনেই হয়তো অনুষ্ঠানে আসেননি পর্তুগিজ অধিনায়ক।

সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে ইতালির মিলান শহরের অপেরা হাউস লা স্কালায় বসে ‘দ্য বেস্ট ফিফা ফুটবল অ্যাওয়ার্ডস ২০১৯’ দেওয়ার অনুষ্ঠান। জাঁকালো এই অনুষ্ঠানেই ঘোষিত হয় ‘ফিফা ফিফপ্রো একাদশ ২০১৯’ও।
 
মঞ্চে একে একে ফিফপ্রো একাদশের সবার নাম ঘোষণা হলে পুরস্কার নিতে ১০ জন এলেও আসেননি পর্তুগিজ উইঙ্গার রোনালদো। তিনি যে পুরস্কার অনুষ্ঠানেই অনুপস্থিত ছিলেন তিনি।

গতবারের মতো এবারও হয়তো রোনালদো আগে থেকে জেনে গিয়েছিলেন ২০১৯-এ ‘দ্য বেস্ট’ পুরস্কার কার হাতে উঠছে। সংক্ষিপ্ত তালিকায় লিওনেল মেসি ও লিভারপুলের ডাচ তারকা ভার্জিল ফন ডাইকের সঙ্গে রোনালদো নিজের নাম দেখলেও গতি-প্রকৃতি আঁচ করতে পারছিলেন। সেজন্য গতবারের মতো এবারও একেবারে অনুষ্ঠানেই আসেননি ৩৪ বছর বয়সী এ তারকা। তার অনুমানকেই সত্যি করে ফিফার বর্ষসেরা পুরস্কার উঠতে দেখা যায় মেসির হাতে।

গত বছর রিয়াল মাদ্রিদের ক্রোয়েশিয়ান মিডফিল্ডার লুকা মদ্রিচের হাতে ফিফা বর্ষসেরা পুরস্কার ওঠার আগে টানা দশ বছর পাঁচবার করে এই পুরস্কার জেতেন মেসি ও রোনালদো। তবে এবার ষষ্ঠবারের মতো এই পুরস্কার জিতে মেসি ছাড়িয়ে গেছেন লা লিগা ছেড়ে ইতালিয়ান লিগে চলে যাওয়া রোনালদোকে।

এদিকে বর্তমানে জুভেন্টাসে খেলা রোনালদো থাকেন তুরিনে। যেখানে মাত্র কয়েকঘণ্টার দূরত্বে পাশের শহর মিলানে যেতে পারেননি তিনি। একই সময় একটি ছবি পোস্ট করেছেন সিআর সেভেন নিজের ইন্সটাগ্রাম পেজে। তাকে দেখা যাচ্ছে তিনি সোফায় বসে বই পড়ায় মনোযোগী। পাশেই টেবিলে তার বড় ছেলে হোমওয়ার্ক করছে।

ছবির ক্যাপশনে রোনালদো লিখেছেন, আজ যা কিছু অসাধারণ, তা ছোট থেকে শুরু হয়েছিল। তুমি সবকিছু করতে পারবে না, তবে স্বপ্নকে সত্যি করতে সম্ভাব্য সবকিছুই কর এবং মনে রেখ রাত শেষেই ভোর আসে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৯
এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।