ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

আনসু ফাতি ও রদ্রিগোর মধ্যে মিল-অমিল

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০১৯
আনসু ফাতি ও রদ্রিগোর মধ্যে মিল-অমিল ছবি:সংগৃহীত

এখনো টিনেজ অধ্যায় পার করা হয়নি। তারমধ্যে ফুটবল বিশ্বের অনেক আলো যেনো দুই তরুণ ফুটবলারকে ঘিরে। একজন বার্সেলোনার আনসু ফাতি। অন্যজন রিয়াল মাদ্রিদের রদ্রিগো। ২১ শতকে জন্ম নেওয়া এই দুই টিনেজ ফুটবলারকে ভাবা হচ্ছে আগামীদিনের তারকা।

ইতোমধ্যে বিশ্বের দামি ব্র্যান্ডগুলোও প্রতিযোগিতায় নেমেছে তাদের স্পন্সর হওয়ার জন্য। সেই দৌড়ে বেশ এগিয়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান নাইকি।

চলতি মৌসুমের লা লিগায় অভিষেক হয় ফাতি ও রদ্রিগোর। অভিষেকেই আলো ছড়িয়েছেন উভয়ে। মাত্র ১৬ বছর বয়সে অভিষেক এবং পরে গোল করে রেকর্ডবইয়েও নাম লিখিয়েছেন ফাতি। গত ৩১ অক্টোবর ১৭তম জন্মদিন পালন করেছেন বার্সার এই তরুণ উইঙ্গার। আগামী ৯ জানুয়ারি উনিশে পা দেবেন রদ্রিগো।

বয়সের হিসেবে লা লিগায় অভিষেকে ফাতির চেয়ে পিছিয়ে আছেন রদ্রিগো। লস ব্লাঙ্কোসদের জার্সিতে তার অভিষেক হয় ১৮ বছর বয়সে। অভিষেকেই নিজের জাত চিনিয়েছেন ব্রাজিলে জন্ম নেওয়া এই ফরোয়ার্ড। হয়ে উঠেছেন কোচ জিনেদিন জিদানের প্রিয় শিষ্যদের একজন। করিম বেনজেমা ও এডেন হ্যাজার্ডের ‍সঙ্গে রদ্রিগোকেই আক্রমণভাগে রাখছেন জিজু।

এ জায়গাতেও গর্ব করতে পারেন ফাতি। কারণ আক্রমণভাগে তার দুই সঙ্গীর একজন ছয়বারের বর্ষসেরা লিওনেল মেসি এবং উরুগুইয়ান তারকা লুইস সুয়ারেজ। কাতালানদের জার্সিতে এখন পযর্ন্ত লা লিগায় ৬ ম্যাচে ২ গোল করেছেন ফাতি। সে জায়গায় রদ্রিগোর ২ গোল এসেছে ৩ ম্যাচে।

ফাতি বেড়ে উঠেছেন বার্সেলোনার বিখ্যাত লা মাসিয়ায়। সেখান থেকেই ক্যাম্প ন্যুয়ের মূল দলে অভিষেক। যার কারণে ফাতির জন্য কোনো ট্রান্সফার ফি’র দিকে যেতে হয়নি কাতালানদের। রদ্রিগোর ক্যারিয়ার শুরু ব্রাজিলের ক্লাব সান্তোসে। ক্লাবটির হয়ে যুব ও মূল দলে আলো ছড়িয়ে চলতি বছর ৪৫ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে আসেন তিনি।

গিনিতে জন্ম হলেও ফাতি বেড়ে উঠেছেন স্পেনে। চাকরির সন্ধানে এবং পরিবারের ভরণ-পোষণের জন্য নিজভূমি ছেড়ে মাইগ্রেটেড হয়ে স্পেনে চলে আসেন ফাতির পিতা। অন্যদিকে রদ্রিগোর জন্য ফুটবল ছেড়ে দেন তার ৩৫ বছর বয়সী বাবা। তিনিও পেশাদারী ফুটবল খেলতেন ব্রাজিলের ‘সিরি বি’ লিগে। পরে খেলা ছেড়ে রদ্রিগোকে ফুটবলার বানানোর মিশনে নামেন।

ফাতি ইতোমধ্যে স্পেনের নাগরিকত্ব পেয়েছেন। স্পেন অনূর্ধ্ব-২১ দলের হয়ে একটি ম্যাচেও খেলেছেন তিনি। ব্রাজিল অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের জন্যও ডাক পেয়েছিলেন ফাতি। তবে বার্সার দিকে মূল ফোকাস দেওয়ায় ব্রাজিল সফরে যাননি তিনি।

রদ্রিগো ব্রাজিলের অনূর্ধ্ব-১৭, অনূর্ধ্ব-২০ এবং অনূর্ধ্ব-২৩ দলে খেলেছেন। সদ্য ডাক পেয়েছেন সেলেকাওদের মূল দলে। তবে এখনো আন্তর্জাতিক ম্যাচে মাঠে নামা হয়নি তার।

ফাতি-রদ্রিগো মাঠের বাইরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বেশ সরব। ইন্সটাগ্রামে দু’জনের আছে মিলিয়নের ওপর অনুসারী। তবে দুই সম্ভাবনাময় উজ্জ্বল তারকা পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে পছন্দ করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের পোস্ট করা অধিকাংশ ছবি পারিবারিক সদস্যদের সঙ্গে।

লা লিগায় অভিষেক হলেও এল ক্লাসিকোর তারিখ পেছানোতে এখনো দু’জনের মুখোমুখি নামা হয়নি। তবে সেই অপেক্ষা ঘোচাতে পারে ১৮ ডিসেম্বর। এছাড়া লা লিগার পাশাপাশি ইতোমধ্যে চ্যাম্পিযনস লিগেও অভিষেক হয়েছে ফাতি-রদ্রিগোর। ফাতির অনুপ্রেরণা তার কাতালান সতীর্থ মেসি। লা লিগায় তার অভিষেক ম্যাচেই রিয়াল বেটিসের বিপক্ষে ৫-২ ব্যবধানে জয় পেয়েছিল বার্সা। ম্যাচ শেষে ‘আইডল’ মেসির কাছ থেকে উষ্ণ অভ্যর্থনাও পান ফাতি। রদ্রিগোর ‘আইডল’ স্বদেশি পেলে। রদ্রিগোর জন্মের ২৭ বছর আগে ফুটবল সম্রাট সান্তোসের হয়ে ১৮ বছর মাঠ দাপিয়ে বেড়িয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৯
ইউবি/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।