অবশ্য এ যাত্রায় রক্ষা পেয়েছেন আবিদাল। সেই সঙ্গে কাতালানদের সর্বেসর্বা মেসিকে শান্ত করতে এক ভিন্ন পথ ধরেছেন তিনি।
২০১৭ সালে রেকর্ড ২২২ মিলিয়ন ইউরো ট্রান্সফার ফি’র বিনিময়ে ক্যাম্প ন্যু ছেড়ে ফরাসি ক্লাব প্যারিস সেন্ট জার্মেইতে (পিএসজি) পাড়ি জমান নেইমার। কিন্তু চলতি মৌসুমের শুরুতে ফের কাতালুনিয়ায় ফেরার জন্য তোড়জোড় শুরু করেন তিনি। মেসিও চেয়েছিলেন সাবেক সতীর্থকে বার্সায় পেতে। কিন্তু দীর্ঘ সময় আলোচনা চললেও ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের ক্যাম্প ন্যুয়ে ফেরার অভিপ্রায় ফলপ্রসু হয়নি। পিএসজি তাদের প্রাণভোমরা নেইমারকে ছাড়েনি।
অন্যদিকে মেসির জাতীয় দলের সঙ্গী মার্তিনেস। চলতি মৌসুমে ইতালিয়ান ক্লাব ইন্টার মিলানের জার্সিতে অসাধারণ সময় কাটাচ্ছেন এ আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। সব প্রতিযোগিতা মিলে নেরাজ্জুরিদের জার্সিতে ২০১৯/২০ মৌসুমে ২০ ম্যাচে ১৬ গোল করেছেন তিনি। দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্সের কারণে মার্তিনেস বার্সার সম্ভাব্য তালিকায় আছেন অনেকদিন। মেসিও ব্যাপারটিতে রাজি।
কিন্তু দুই তারকার একজনকেও এখনো দলে ভিড়াতে পারেনি বার্সা। তবে মেসির সঙ্গে যখন ঝামেলা পাকলো তখন আবিদাল একটু ভিন্ন পথে হেঁটে নেইমার-মার্তিনেসকে ক্যাম্প ন্যুয়ে আনার ইঙ্গিত দিলেন। বার্সার স্পোর্টিং ডিরেক্টর স্প্যানিশ পত্রিকা ‘মুন্দো দেপোর্তিভো’কে বলেন, ‘এটা পরিকল্পনা, পাসপোর্ট ও অন্যান্য বিষয়ের উপর নির্ভর করছে। আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলো খেলোয়াড়ি দৃষ্টিভঙ্গি। ক্লাব হিসেবে আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য শক্তিশালী দল গঠনের চেষ্টা করছি। ’
৪০ বছর বয়সী সাবেক বার্সা ডিফেন্ডার আরো বলেন, ‘নেইমার-লাওতারোর (মার্তিনেস) মতো প্রতিভাবান খেলোয়াড় পাওয়া সবসময় দলের জন্য ভালো। আমি মনে করি না এটা অসম্ভব কিছু। আমরা তাদেরকে দলে পাওয়ার ব্যাপারে চেষ্টা করবো। ’
মেসি-আবিদালের সমস্যার সূত্রপাত আবিদালের এক বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে। বার্সার সাম্প্রতিক বাজে পারফরম্যান্সের কারণে আর্নেস্তো ভালভার্দেকে কিছুদিন আগে কোচের পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। সাবেক ফরাসি কিংবদন্তির মতে, ভালভার্দেকে সরিয়ে দেওয়ার পেছনে ফুটবলাররাই ভূমিকা রেখেছে, এমনকি তাদের আচরণ ও অখেলোয়াড়সুলভ ভাবভঙ্গিতে সন্তুষ্ট নন আবিদাল।
‘দিয়ারিও স্পোর্ত’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আবিদাল বলেন, ‘অনেক খেলোয়াড়ই খুশি না এবং তারা কঠোর পরিশ্রমও করে না। কোচ ও ড্রেসিং রুমের পরিবেশ সবসময়ই ভালো ছিল। তবে এখানে এমন কিছু হয়েছে যা আমি একজন সাবেক খেলোয়াড় হিসেবে বুঝতে পারি। ’
আবিদালের অভিযোগে অবশ্য চুপ করে থাকেননি মেসি। আর্জেন্টাইন তারকা জানিয়ে দেন, দলের খারাপ অবস্থার জন্য শুধু খেলোয়াড় নয়, বোর্ডের কর্তারাও দায়ী।
আবিদালের কথার সমালোচনা করে মেসি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেন, আমার সত্যি বলতে এসব ভালো লাগে না। তবে আমি মনে করি সবাই তার কাজের প্রতি দায়িত্ববান ও সিদ্ধান্তে যত্নশীল হওয়া দরকার। মাঠে কি হচ্ছে সে ব্যাপারে ফুটবলাররা দায়বদ্ধ এবং মাঠে খারাপ খেললে আমরাই প্রথম স্বীকার করে নেই।
তিনি আরও লিখেন, একইভাবে ম্যানেজমেন্টকেও তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে অবহিত হতে হবে। সবশেষে বলবো, যখন খেলোয়াড়দের নিয়ে বলা হয়, তখন তার নাম বলতে হবে। অন্যথায় সবাইকে দোষ দেওয়া হবে এবং গুজব ছড়াবে, যা সত্য না।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২০
ইউবি