ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

মেসিকে কেনার অপেক্ষায় ম্যানসিটি!

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২০
মেসিকে কেনার অপেক্ষায় ম্যানসিটি! লিওনেল মেসি-ছবি: সংগৃহীত

ক্লাব কর্তৃপক্ষ বনাম মেসি লড়াইয়ে আপাতত ছেদ পড়েছে। তবে বার্সেলোনার বর্তমান পরিস্থিতি গভীর মনোযোগের সঙ্গে লক্ষ্য করছে ম্যানচেস্টার সিটি। কারণ, মেসিকে এমন রাগান্বিত আগে কখনোই দেখা যায়নি। ফলে তার ক্যাম্প ন্যু ছাড়ার সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে। আর এই সুযোগটা কাজে লাগানোর অপেক্ষায় আছে ইংলিশ জায়ান্টরা।

বার্সার সঙ্গে মেসির নতুন যে চুক্তি স্বাক্ষর করতে যাচ্ছেন, সেখানে নাকি রিলিজ ক্লজ রাখার সম্ভাবনা আছে। অর্থাৎ, মৌসুমের শেষে চাইলে বার্সা ছাড়তে পারবেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড।

আর এমনটা হলে তাকে দলে পেতে সবরকম চেষ্টা চালিয়ে যাবে সিটি।  

যদিও ম্যানচেস্টার সিটি ভালো করেই জানে, মেসিকে সহজে হাতছাড়া করবে না বার্সা। কিন্তু মেসি যদি নিজে ক্লাব ছাড়তে চান তাহলে সিটি হতে চায় তার পরবর্তী ঠিকানা। কারণ সিটির ফুটবল পরিচালক জিকি বেরিস্তাইন, প্রধান নির্বাহী ফেরান সোরিয়ানো এবং কোচ পেপ গার্দিওলার সঙ্গে মেসির বেশ ভালো সম্পর্ক রয়েছে মেসির।

গার্দিওলার অধীনে ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত খেলেছেন মেসি। এসময়ে দুজনে ঝুলিতে পুরেছেন তিনটি স্প্যানিশ শিরোপা, ২টি চ্যাম্পিয়নস লিগ আর ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা। তাছাড়া মেসিকে বছরে ৫০ মিলিয়ন পাউন্ড দেওয়ার সামর্থ্যও ম্যানসিটির আছে।

সমস্যার সূত্রপাত আবিদালের এক বিতর্কিত মন্তব্য। বার্সার সাম্প্রতিক বাজে পারফরম্যান্সের কারণে আর্নেস্তো ভালভার্দেকে কিছুদিন আগে কোচের পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। সাবেক ফরাসি কিংবদন্তির মতে, ভালভার্দেকে সরিয়ে দেওয়ার পেছনে ফুটবলাররাই ভূমিকা রেখেছে, এমনকি তাদের আচরণ ও অখেলোয়াড়সুলভ ভাবভঙ্গিতে সন্তুষ্ট নন আবিদাল।

‘দিয়ারিও স্পোর্ত’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আবিদাল বলেন, ‘অনেক খেলোয়াড়ই খুশি না এবং তারা কঠোর পরিশ্রমও করে না। কোচ ও ড্রেসিং রুমের পরিবেশ সবসময়ই ভালো ছিল। তবে এখানে এমন কিছু হয়েছে যা আমি একজন সাবেক খেলোয়াড় হিসেবে বুঝতে পারি। ’

আবিদালের অভিযোগে অবশ্য চুপ করে থাকেননি মেসি। আর্জেন্টাইন তারকা জানিয়ে দেন, দলের খারাপ অবস্থার জন্য শুধু খেলোয়াড় নয়, বোর্ডের কর্তারাও দায়ী।

আবিদালের কথার সমালোচনা করে মেসি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেন, আমার সত্যি বলতে এসব ভালো লাগে না। তবে আমি মনে করি সবাই তার কাজের প্রতি দায়িত্ববান ও সিদ্ধান্তে যত্নশীল হওয়া দরকার। মাঠে কি হচ্ছে সে ব্যাপারে ফুটবলাররা দায়বদ্ধ এবং মাঠে খারাপ খেললে আমরাই প্রথম স্বীকার করে নেই।

তিনি আরও লিখেন, একইভাবে ম্যানেজমেন্টকেও তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে অবহিত হতে হবে। সবশেষে বলবো, যখন খেলোয়াড়দের নিয়ে বলা হয়, তখন তার নাম বলতে হবে। অন্যথায় সবাইকে দোষ দেওয়া হবে এবং গুজব ছড়াবে, যা সত্য না।

এই ঘটনা সামাল দিতে মঞ্চে আবির্ভূত হন খোদ বার্সা প্রেসিডেন্ট হোসে মারিয়া বার্তমেউ। প্রথমে মেসিরর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পর আবিদালের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেন বার্সা প্রেসিডেন্ট। প্রায় দুই ঘন্টার বৈঠক শেষে ৪০ বছর বয়সী সাবেক ফরাসি ডিফেন্ডারের চাকরি এ যাত্রায় টিকে যায়। এরইমধ্যে পরবর্তী ম্যাচের (অ্যাথলেতিক বিলবাও) জন্য দলের সঙ্গে সফর করার প্রস্তুতিও নিচ্ছেন আবিদাল। তবে এবার তার সঙ্গে থাকবেন ক্লাব প্রেসিডেন্টও।

ওদিকে মেসিও বার্সা প্রেসিডেন্টকে জানিয়ে দিয়েছেন, এই ঘটনাকে আপাতত এক পাশে সরিয়ে রেখে মৌসুমের বাকি সময় খেলায় মনোযোগ দিতে চান তিনি। ফলে সিটির আশা আপাতত পূরণ হচ্ছে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২০
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।