জার্মানির বার্লিনে এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে এবারের লরিয়াস বর্ষসেরা ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব হিসেবে পুরস্কৃত হন মেসি ও হ্যামিল্টন। দুজনেই সমান ভোট পেয়ে এই স্বীকৃতি অর্জন করেছেন।
এর আগে আরও পাঁচবার মনোনয়ন পেলেও ২০তম আসরে এসে সাফল্য ধরা দিল মেসির হাতে। এই পুরস্কার বিজয়ের পথে তিনি পেছনে ফেলেছেন রাফায়েল নাদাল, মার্ক মার্কুইজ, গলফার টাইগার উডসের মতো ক্রীড়া তারকাদের। গত বছর এই পুরস্কার ঘরে তুলেছিলেন টেনিস তারকা নোভাক জোকোভিচ।
২০১৯ সালের প্রায় সব সেরা পুরস্কার হাতে তুলেছেন মেসি। গোল্ডেন শু, ষষ্ঠ ব্যালন ডি’অর, ফিফার বর্ষসেরাসহ অসংখ্য পুরস্কারের ঝুলিতে শেষ সংযোজন লরিয়াসের এই পুরস্কার। ক্রীড়া গ্রেটদের ভোটেই সেরা ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব নির্বাচিত করা হয়।
বর্ষসেরা নারী ক্রীড়াবিদ হয়েছেন মার্কিন জিমন্যাস্ট সিমোনা বাইলস। আর লিভারপুল এবং মার্কিন নারী ফুটবল দলকে হারিয়ে বিশ্বসেরা দল নির্বাচিত হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা রাগবি দল।
এদিকে একই রাতে ইতিহাস গড়েছেন শচীনও। যদিও ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন আগেই, তবু তার প্রতি ক্রিকেটভক্তদের ভালোবাসায় যে এতটুকু কমেনি তার উদাহরণ এবারের লরিয়াস পুরস্কার। বিশ বছরের সেরা ক্রীড়া মুহূর্তের পুরস্কার গেছে এই কিংবদন্তির দখলে।
সব ক্যাটাগরির মাঝে একটি পুরস্কারই কেবল সাধারণ মানুষের ভোটে নির্ধারিত হয়েছে। আর সেই পুরস্কার জিতেছে ২০১১ সালে বিশ্বকাপে জেতার পর টেন্ডুলকারকে ঘাড়ে তুলে ভারতীয় দলের উদযাপন। এই মুহূর্তের কথা আজও ভারতীয় সমর্থকদের মনে গেঁথে আছে, তার একটা বড় উদাহরণ এই পুরস্কার পাওয়ার ঘটনা। ইতিহাসের সাক্ষী হতে পুরস্কার গ্রহণ করতে বার্লিনে উড়াল দিয়েছিলেন টেন্ডুলকার। তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন বিশ্বকাপজয়ী অজি অধিনায়ক স্টিভ ওয়াহ।
তবে ছুটিতে থাকায় পুরস্কারের মঞ্চে হাজির হতে পারেননি মেসি। তবে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে ‘দলীয় খেলা থেকে প্রথম’ লরিয়াস বর্ষসেরার পুরস্কার জেতার আনন্দ সবার সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন এই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২০
এমএইচএম