ফিনান্সিয়াল ফেয়ার প্লে’র নিয়মনীতি ভঙ্গের দায়ে ম্যানচেষ্টার সিটিকে দুই বছর নিষিদ্ধ করেছে উয়েফা। ঘরের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে খেলা শুরুর আগেও সবার মুখে ছিল এই নিষেধাজ্ঞার কথা।
ম্যাচে সিটিজেনদের প্রথম গোলটি আসে রদ্রির কৃতিত্বে। এটি আবার ঘরের মাঠে তার প্রথম গোল। এর এক ঘণ্টা পরে ব্যবধান বাড়িয়ে দেওয়া গোলটি করেন কেভিন ডি ব্রুইনে।
চলতি মাসের শুরুতে টটেনহামের কাছে ২-০ গোলে হারের পর এই জয়টা ভীষণ জরুরী ছিল সিটির জন্য। এই জয়ের ফলে তিনে থাকা লেস্টার সিটির সঙ্গে ৪ পয়েন্ট ব্যবধান বাড়িয়ে নিল স্বাগতিকরা।
এদিকে উয়েফার নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আপিল করার কথা জানিয়েছে সিটি। যদিও এই ঘটনা (নিষেধাজ্ঞা) ক্লাবের ভবিষ্যত শঙ্কায় ফেলে দিয়েছে, তবু সমর্থকদের পাশে পাচ্ছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। পুরো ম্যাচেই গার্দিওলা ও সিটির মালিক শেখ মনসুরের সমর্থনে গান গেয়েছেন সমর্থকরা।
খেলার প্রথমার্ধের ডি ব্রুইনের কর্নার থেকে কাছের পোস্টে থাকা রদ্রির গোল করার মুহূর্তে গ্যালারি থেকে মুহুর্মুহু উয়েফা-বিরোধী স্লোগান শোনা যায়। সিটির সমর্থকরা এমনকি বড় বড় ব্যানার আর প্ল্যাকার্ড নিয়েও স্টেডিয়ামে আসেন। অনেক ব্যানারে ‘উয়েফা মাফিয়া’ লেখা ছিল।
১০ দিন আগে ম্যাচটি ঝড়ের কারণে স্থগিত করা হয়েছিল। এর আগে মৌসুমের মাঝখানের বিরতি মিলিয়ে ১৭ দিন বিশ্রাম পেয়েছিলেন সিটির খেলোয়াড়রা। এর মাঝে আবার নিষেধাজ্ঞার ধাক্কা। তবে শেষ হাসিটা গার্দিওলাই হেসেছেন। শুধু তাই না, এই কাতালান কোচ জানিয়ে দিয়েছেন, পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, সিটি ছেড়ে সহসা যাচ্ছেন না তিনি। খেলোয়াড়রাও যে গুরুর কথায় ভরসা রেখেছেন, তা এই ম্যাচেই দেখা গেল।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২০
এমএইচএম