বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ম্যাচের শুরু থেকেই বল দখলে সমান আধিপত্য ছিল দুই দলেরই। ম্যাচের ২১ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় ম্যানসিটি।
ম্যাচের ৩০ মিনিটে গোলের সুযোগ পেয়েছিলো রিয়ালও। ফারল্যান্ড মেনডির ক্রস থেকে করিম বেনজিমার হেড ফিরিয়ে দেন সিটিজেন গোলরক্ষক এডারসন। তবে ফিরতি বল অবশ্য শট দিতে ব্যর্থ হন ভিনিসিয়াস জুনিয়র। ফলে নিশ্চিত গোলবঞ্চিত হয় স্বাগতিকরা।
ম্যাচের প্রথমার্ধে গোলের দেখা পায়নি কোনো দল। বিরতির পর ৫৬ মিনিটে জেসুসের ক্রস থেকে পাওয়া বল গোলরক্ষককে প্রায় একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন রিয়াদ মাহরেজ। তার নেওয়া শট ডান দিকে ঝাপিয়ে পড়ে রক্ষা করেন কর্তোয়া।
অবশেষে গোলে দেখা পায় রিয়াল। ম্যাচের ৬০ মিনিটে দুই সিটিজেন ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে ভিনিসিউস জুনিয়রের পাস থেকে পেনাল্টি বক্সের মাঝামাঝি জায়গায় ফাঁকায় থাকা স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড ইসকো সুযোগ পেয়ে ঠান্ডা মাথায় বল জালে জড়ান।
ম্যাচের ৭৮ মিনিটে সমতায় ফিরে সিটিজেনরা। পেনাল্টি বক্সের ভেতরে বাম পাশ দিয়ে ডে ব্রুয়েনা ক্রস বাড়িয়ে দেন জেসুসের দিকে। তবে জেসুসকে পাহারায় রাখা ডিফেন্ডার সার্জিও রামোস ক্রসটির নাগাল পাননি। ফলে হেড দিয়ে গোল করে দলকে সমতায় আনেন জেসুস।
ম্যাচের ৮৩ মিনিটে এগিয়ে যায় ম্যানসিটি। পেনাল্টি ডি বক্সের ভেতরে রাহিম স্টার্লিংকে ফাউল করে বসেন রিয়াল ডিফেন্ডার কারভাহাল। পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। পরে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির (ভিএআর) সিদ্ধান্ত বদলাননি রেফারি। স্পট কিক থেকে দলকে ২-১ গোলে এগিয়ে দেন কেভিন ডে ব্রুইনে।
এরপর আরও বিপদে পড়ে রিয়াল। ম্যাচের ৮৬ মিনিটে বল নিয়ে এগিয়ে যাওয়া জেসুসকে পেনাল্টি বক্সের ঠিক আগে পেছন থেকে টেনে ধরেন রামোস। সরাসরি লালকার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন তিনি। ফলে দ্বিতীয় পর্বে খেলতে পারবে না রামোস। এটি তার ক্যারিয়ারের ২৬তম লাল কার্ড।
আগামী ১৭ মার্চ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফিরতি পর্বে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ম্যানচেস্টার সিটির মুখোমুখি হবে রিয়াল মাদ্রিদ।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২০
আরএআর/আরআইএস