করোনাভাইরাস এখন বৈশ্বিক আতঙ্ক। চীন থেকে উৎপত্তি হওয়া এই বিপত্তি এখন ৫০টিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।
চলতি সপ্তাহে সুইজারল্যান্ডে (যেখানে ফিফা’র হেড কোয়ার্টার অবস্থিত) শীর্ষ দুই বিভাগের ম্যাচ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। গত শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) হাজারো মানুষের জমায়েত হয় এমন সব ইভেন্ট নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার।
এদিকে ইতালির শীর্ষ লিগ সিরি আ’র পাঁচটি ম্যাচ দর্শকবিহীন মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সব লিগ ম্যাচ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। চীনের বাইরের এই তিন দেশেই করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে সবচেয়ে বেশি।
শুক্রবার বেলফাস্টে ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভায় ইনফান্তিনো বলেন, ‘একজন মানুষের স্বাস্থ্য যেকোনো ফুটবল ম্যাচের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এজন্যই পরিস্থিতির দিকে খেয়াল রাখতে হচ্ছে এবং আশা করি এটা (করোনাভাইরাস) বেড়ে যাওয়ার বদলে কমে যাবে। এখন যা পরিস্থিতি তাতে মনে হচ্ছে এটা বাড়ছে। যদি ম্যাচগুলো পিছিয়ে দিতে হয় কিংবা দর্শক ছাড়াই খেলতে হয় তাহলে আমাদের সেটাই করতে হবে। ’
আগামী মাস থেকে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচগুলো ঠিক সময়েই মাঠে গড়াবে এমন আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমি এখনই কোনো কিছু বাতিল করে দিচ্ছি না। আমি আশা করি আমাদের সেদিকে (ম্যাচ বাতিল বা পিছিয়ে দেওয়া) যেতে হবে না। আমি মনে করি বৈশ্বিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা কঠিন হবে কারণ পরিস্থিতি সত্যিই অন্যরকম। ’
তবে দর্শকবিহীন মাঠে খেলা চালিয়ে যাওয়াকে মোটেই সমাধান ভাবছে না ফিফা প্রেসিডেন্ট, ‘সব টুর্নামেন্টের আয়োজকদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে কোনটা তাদের জন্য ভালো হবে। সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য এটা সমাধান হতে পারে। কিন্তু কয়েকমাস ধরে বন্ধ দরজার পেছনে ম্যাচ আয়োজন দীর্ঘ মেয়াদে কোনো সমাধান হতে পারে না। ’
নতুন করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বজুড়ে অসংখ্য ক্রীড়া টুর্নামেন্ট পিছিয়ে গেছে। বেইজিংয়ে আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাওয়া চাইনিজ ফর্মুলা ওয়ান গ্র্যান্ড প্রিক্স’র আয়োজন পিছিয়ে গেছে। চীনের নানজিং শহরে শুরু হতে যাওয়া অ্যাথলেটিকসের ওয়ার্ল্ড ইনডোর চ্যাম্পিয়নশিপ আগামী ২০২১ সাল পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
শুধু তাই না, জুন থেকে শুরু হতে যাওয়া করোনাভাইরাসের প্রভাবে ইউরো-২০২০ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ এবং জুলাই থেকে শুরু হতে যাওয়া টোকিও অলিম্পিকও এখন হুমকির মুখে।
করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট কভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে ২ হাজার ৯২৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আর এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৫ হাজার ১৭৩ জন। কভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৩৯ হাজার ৩৩২ জন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২০
এমএইচএম