গতবার নেইমার নিজে থেকেই পিএসজি ছেড়ে বার্সায় ফিরতে চেয়েছিলেন। তাকে ফেরাতে চেয়েছিল কাতালান জায়ান্টরাও।
গত গ্রীষ্মের দলবদলের বাজারে নেইমারের গায়ে ২৫০ মিলিয়ন ইউরোর (মতান্তরে ২০০ মিলিয়ন ইউরো) ট্যাগ লাগিয়ে দিয়েছিল পিএসজি। যদিও ২০১৭ সালে নেইমারকে ২২২ মিলিয়ন ইউরোয় বার্সার কাছ থেকেই কিনেছিল ফরাসি জায়ান্টরা। তাছাড়া নেইমার তখন ইনজুরি আর বিতর্কে জেরবার। তা সত্ত্বেও বার্সার দেওয়া তিনটি প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিল পিএসজির কাতারি মালিকপক্ষ।
অবশেষে যখন কিছুতেই বার্সায় ফেরা হলো না, নেইমার পিএসজিতেই মন বসালেন। শুরুতে সমর্থক আর সতীর্থদের কাছ থেকে অপমানসূচক আচরণ পেলেও ক্রমেই সব ঠিকঠাক হয়ে গেছে। নেইমারও ফর্ম পেতে শুরু করেছেন। কিন্তু এর মধ্যেই আবার কোচ টমাস টুখেলের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়েছেন তিনি। তাছাড়া মাঠের বাইরের বিতর্কও আছে।
সবমিলিয়ে নেইমারকে নিয়ে পিএসজির মোহভঙ্গ হয়েছে। এখন তাকে বেচে দেওয়াকেই সমাধান মানতে শুরু করেছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। এজন্য এমনকি ৭২ মিলিয়ন ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬৮০ কোটি টাকা) 'লস' দিতেও আপত্তি নেই তাদের। ক্লাবের ক্রীড়া পরিচালক লিওনার্দো এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন, যা কয়েক মাস আগেই অকল্পনীয় ভাবা হতো। এই ২০২০ সালেই ঘটনাটা ঘটে যেতে পারে। আর এই সুযোগের অপেক্ষায় অনেকদিন থেকেই বসে আছে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততে মরিয়া বার্সা।
এদিকে নেইমারকে ছাড়তে রাজি হলেও আরেক ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপ্পেকে কিছুতেই হাতছাড়া করতে চায় না পিএসজি। এজন্য নেইমারের মূল্য কমিয়ে ১৫০ মিলিয়ন ইউরোয় নামিয়ে আনা হয়েছে, যাতে তাকে বেচতে সুবিধা হয়। খবরটা বার্সা এবং নেইমারের আইনজীবীদের জন্য রীতিমত দারুণ এক সুযোগ খাড়া করে দিয়েছে। কারণ, গতবারের চেয়ে এবার যে অনেক কমেই কেনা যাবে বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবলারকে।
নেইমারকে কেনার সম্ভাব্য এই সুযোগ দেখে নিশ্চিতভাবেই খুশি হয়েছেন নেইমারের সাবেক সতীর্থ ও প্রিয় বন্ধু লিওনেল মেসি। এটা খুশির খবর হয়ে এসেছে বার্সা প্রেসিডেন্ট হোসে মারিয়া বার্তমেউ'র জন্যও। কারণ এবার গতবারের ব্যর্থতার গ্লানি ঘোচানোর সুযোগ পাচ্ছেন তিনি। আর তার সঙ্গে নেইমার ও অন্যান্য ইস্যুতে মেসির যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে সেটাতেও একটা প্রলেপ দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২০
এমএইচএম/এমএমএস