ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

আর্জেন্টিনায় কেন ঘৃণিত রোনালদো, জানালেন দিবালা

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২, ২০২০
আর্জেন্টিনায় কেন ঘৃণিত রোনালদো, জানালেন দিবালা রোনালদো ও দিবালা/ছবি: সংগৃহীত

লিওনেল মেসির দেশে তার একমাত্র যোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে লোকে অপছন্দ করবে সেটা জানা কথা। কিন্তু তাই বলে ঘৃণা? পাওলো দিবালা অন্তত এমনটাই জানালেন। এমনকি বিষয়টা জুভেন্টাস সতীর্থকে নিজেই জানিয়েছেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড।

রোনালদোর সঙ্গে জুভেন্টাসে এই নিয়ে দ্বিতীয় মৌসুম চলছে দিবালার। এই সময়ে দুজনের বন্ধুত্বও হয়ে গেছে।

আবার জাতীয় দলের সতীর্থ মেসির সঙ্গেও দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব দিবালার। তবে মেসির সঙ্গে ক্লাব ফুটবলে জুটি গড়া হয়নি দিবালার। বরং যাকে পুরো আর্জেন্টিনায় ঘৃণার চোখে দেখা হয় সেই রোনালদোর সঙ্গেই প্রায় দুই মৌসুম একই ক্লাবে কাটিয়ে দিয়েছেন তিনি।

কিন্তু রোনালদোকে কেন আর্জেন্টিনায় ঘৃণা করা হয়? উত্তরটা আছে দিবালার বক্তব্যেই। আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ)-কে অনলাইনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'আমি রোনালদোকে বলেছি: আর্জেন্টিনায় আমরা তোমাকে ঘৃণা করি। তোমার ফিগার, তুমি যেভাবে চলো, যেভাবে হাঁট- সবকিছুই। '

তবে একসঙ্গে খেলার পর দিবালার ধারণা পাল্টে গেছে। এখন বরং রোনালদোকে তার বেশ ভালো লাগে। দিবালার ভাষায়, 'সত্যি কথা হচ্ছে, তুমি (রোনালদো) আমাকে চমকে দিয়েছো কারণ এখন তোমাকে ভিন্ন (আর্জেন্টিনায় যেমনটা ভাবা হয়) মনে হচ্ছে। '

গত মৌসুমে মেসির সমালোচনা করে বিপাকে পড়েছিলেন দিবালা। সেসময় তিনি দাবি করেছিলেন, মাঠে দুজনের খেলার ধরন এক হওয়াতে জাতীয় দলে মেসির সঙ্গে জুটি গড়া হয়নি তার। এই নিয়ে তখন হইচই পড়ে গিয়েছিল। দিবালা অবশ্য তার বক্তব্যের ব্যাখ্যাও দিয়েছেন, 'আমি কখনোই সতীর্থের সমালোচনা করতে চাইনি। আমি শুধু অবস্থার উন্নতি চেয়েছিলাম। '

'আমি বিষয়টা নিয়ে মেসির সঙ্গেও কথা বলেছিলাম কারণ তার সঙ্গে আমার খেলার ধরনে অনেক মিল আছে। আমি বিশ্বকাপ কিংবা কোপা আমেরিকায় খেলার তেমন একটা সুযোগ পাইনি। কিন্তু সেই সঙ্গে এটাও বলব, আমি সবসময় কোচদের সিদ্ধান্ত মেনে চলি কারণ আর্জেন্টিনায় এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ,'-যোগ করেন তিনি।

গত মার্চে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন দিবালা। তবে এখন তিনি পুরোপুরি সুস্থ। করোনা সংক্রমণের সময়টা কেমন কেটেছে সেটা নিয়েও কথা বলেছেন জুভেন্টাস ফরোয়ার্ড। 'আমি প্রচুর কাশি দিতাম, আমি ক্লান্ত হয়ে পড়তাম এবং রাতে ঘুমানোর সময় ঠাণ্ডা অনুভব করতাম। সময়টা খুব কঠিন ছিল। ওই সময় আমি হতাশ না হয়ে শান্ত থাকার চেষ্টা করতাম এবং জুভেন্টাসের চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলতাম। '

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০২০
এমএইচএম/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।