শুক্রবার (১০ এপ্রিল) দেশটির ফুটবল লিগে মুখোমুখি বেলারুশের এফসি নিমান গ্রোদনো ও এফসি বেলশিনা ববরুস্ক। ম্যাচটিতে মাত্র ২৫৩ জন দর্শক স্টেডিয়ামে বসে উপভোগ করে।
বেলশিনা কোচ এডুয়ার্ড গ্রাদোবায়েভ নিজেও কম দর্শক থাকা নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, 'অবশ্যই এটা (দর্শক কমে যাওয়া) মূল সমস্যা। কারণ ফুটবল দর্শকদের জন্যই খেলা হয়। যদি মাঠে দর্শক কম থাকে, তাহলে এটা কিছুটা বিব্রতকর তো বটেই। '
শুধু কি তাই, নেমান গ্রোদনোর নিজস্ব দর্শকরাও সবাইকে দূরে থাকার নিদান দিয়েছেন। এক বিবৃতিতে তারা সবাইকে ঘরে থাকার আহবান জানিয়েছে। আরও অবাক করা বিষয়, নিজেদের ঘরের মাঠে দর্শক কম থাকায় খুশি নেমানের খেলোয়াড়রা। সমর্থকরা সবাইকে ঘরে থাকার আহবান জানানোয় দর্শকশুন্য গ্যালারির দিকে দাঁড়িয়ে হাততালি দিয়েছে তারা।
কিছুদিন আগেও করোনার কারণে ইউরোপের অধিকাংশ দেশে যখন লকডাউন কিংবা জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে, তখনও বেলারুশের ঘরোয়া লিগের খেলায় মাঠভর্তি দর্শক দেখা গেছে। কিন্তু পরিস্থিতির অবনতির পেছনে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্দার লুকাশেঙ্কোর দায় দেখছেন অনেকে। তিনি মনে করেন, তার দেশে লকডাউন করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। নিজ দেশের জনগণকে তিনি পরামর্শ দিয়েছেন করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে ভোদকা পান করার।
শুধু বেলারুশের প্রেসিডেন্ট একাই নন, দেশটির ফুটবল ফেডারেশনও লিগ চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে মত দিয়েছে। কারণ হিসেবে তারা বলেছে, করোনার কারণে তাদের দেশে তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। তবে সম্প্রতি তারা এটা অস্বীকার করেছে। কিন্তু খেলা বন্ধ হয়নি। ক্লাবগুলোও তাই বাধ্য হয়েই খেলা চালিয়ে যাচ্ছে।
ফুটবল চালিয়ে যাওয়ার এই সিদ্ধান্ত বেলারুশ ফুটবল ফেডারেশনকে সাহায্য করবে রাশিয়া, ইসরায়েল ও ভারত-সহ ১০টি দেশের স্পোর্টস নেটওয়ার্কগুলোর সঙ্গে সম্প্রচার সুরক্ষিত করার। যেখানে ফুটবল সমর্সথকদের সরাসরি দেখার কিছুই নেই সেখানে তারা বেলারুশ প্রিমিয়ার লিগ দেখে ফুটবল উপভোগ করতে পারবে। অর্থাৎ, এক্ষেত্রে জীবনের চেয়ে আর্থিক দিকটাকেই গুরুত্ব দিয়েছে তারা।
করোনা ভাইরাসে বেলারুশে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ২২২৬ এবং মৃতের সংখ্যা ২৩।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২০
আরএআর/এমএইচএম