‘ওলে’ নামের আর্জেন্টিনার এক জাতীয় দৈনিক ক্রীড়া মাধ্যমে এ কথা জানান ২৪ বছর বয়সী লা আলবিসেলেস্তে ডিফেন্ডার।
২০১৪ সালে রিভার প্লেটের জার্সিতে পেশাদারি ক্যারিয়ার শুরু করেন মাম্মানা।
মাম্মানা বলেন, ‘আমার বুড়ো মানুষটার (বাবা) মৃত্যুর পর আমি সবকিছু ছেড়ে দিতে চেয়েছিলাম। ইতোমধ্যে আমি আমার মাকে হারিয়েছি এবং ভেবেছি ফুটবল ছেড়ে দেওয়ার। এমনকি আমি পাগল হয়ে দুইবার আত্মহত্যাও করতে চেয়েছিলাম। এটা খুব কঠিন, খুব কঠিন। ’
আর্জেন্টাইন জাতীয় দলের হয়ে তিন ম্যাচ খেলা মাম্মানার শোক কাটিয়ে উঠতে অবশ্য পাশে দাঁড়িয়েছিল রিভার প্লেট। অতীতের নিজের নিদারুণ দুঃখজনক সময়টা স্মরণ করে তিনি আরও বলেন, ‘দুই বা তিনমাস আমাকে প্রচুর মূল্য চুকাতে হয়েছে। তবে যন্ত্রণা সত্ত্বেও আমি নিজেকে পুনরুদ্ধারে সক্ষম হয়েছি এবং রিভার আমাকে সাহায্য করেছিল। আমি উপলব্ধি করেছিলাম, আমি যাতে সফল হতে পারি এবং যন্ত্রণার কারণে যাতে সবকিছু ছেড়ে না দিই তার জন্য তারা খুব কঠোরভাবে লড়াই করেছিল। ’
এক সময় ট্রেনে চড়ার ও খাবার কেনার টাকা ছিল না মাম্মানার পরিবারের কাছে। তবে রিভার প্লেট সবসময় বন্ধু ও অভিবাবকের মতো ছায়া হয়ে পাশে থেকেছে তার। তার জন্য রিভারের কাছে কৃতজ্ঞ মাম্মানা ধন্যবাদও দিয়েছেন তার পুরনো ক্লাবকে, ‘বাড়িতে আমাদের ট্রেনে চড়ার এবং খাবার কেনারও টাকা ছিল না। তাই ধন্যবাদ রিভার তোমাকে। আজকে আমি যা তার জন্য সবসময় পাশে ছিলে তুমি। ’
মাম্মানার বাবার স্বপ্ন ছিল তার ছেলেকে প্রথম বিভাগের ফুটবল খেলতে দেখা। সেই স্বপ্ন অবশ্য ঠিকই পূরণ করেছিলেন তিনি। নিজের পিতার স্বপ্ন সম্পর্কে মাম্মানা বলেন, ‘আমি আমার বাবার স্বপ্ন পূরণ করেছিলাম। তিনি আমাকে প্রথম বিভাগের ফুটবল খেলতে দেখতে চেয়েছিলেন। ’
রিভার প্লেটের ঐকান্তিক সাহায্যে মাম্মানা এখন সম্পূর্ণ সুস্থ। নিজের ক্যারিয়ার সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সংকল্পে অটল তিনি। কঠিন সময় পার করে ফিরে আসা মাম্মানা বলেন, ‘আমি এখন নিজের দায়িত্ব নেওয়া শুরু করেছি। যদিও আমার আরও বড় চার ভাই রয়েছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২০
ইউবি