দক্ষিণ কোরিয়ার প্রত্যেক যুবাদের সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়া বাধ্যতামূলক। দুই বছরের জন্য মিলিটারী ট্রেনিংয়ের পাশাপাশি নিয়োজিত থাকতে হয় জনকল্যাণমূলক কাজে।
ছাড় অবশ্য তিনি পেয়েছেন। অন্যান্য কোরিয়ান যুবকদের যেখানে দুই বছর কঠোরভ নিয়ম পালন ও ট্রেনিং করতে হয় সেখানে সন সেনাবাহিনীতে থাকবেন মাত্র তিন সপ্তাহ। তার অবশ্য কারণও আছে।
২০১৮ সালে দেশকে এশিয়ান গেমসের স্বর্ণপদক জেতাতে না পারলে তখনই সেনাবাহিনীতে দুই বছরের জন্য চলে যেতে হতো সনকে। আর তাতে তার ফুটবল ক্যারিয়ারই পড়ে যেতো শঙ্কার মুখে। তবে ভাগ্যের সেই খেলায় পাশ করে যান স্পার্স ফরোয়ার্ড। পরে টটেনহামের জার্সিতে গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালও খেলেন তিনি।
করোনার কারণে প্রিমিয়ার লিগ স্থগিত হওয়ার পর বাড়ি ফিরে যান সন। ছিলেন ১৪ দিনের আইসোলেশনেও। ফের কবে মাঠে ফুটবল গড়াবে তার অনিশ্চয়তা থাকায় এক পর্যায়ে তিনি সিদ্ধান্ত নেন অনাকাঙ্খিত অবসরে অন্তত মিলিটারী ট্রেনিংটা শেষ করে ফেলার।
সন-মিন সোমবার (২০ এপ্রিল) বাধ্যতামূলক সেনাবাহিনীর কর্তব্য সম্পাদনের জন্য যোগ দেবেন দক্ষিণ কোরিয়ার জেহুরের দক্ষিণ দ্বীপ ম্যারিন ক্যাম্প কর্পস বুট ক্যাম্পে। ০৮ মে পযর্ন্ত স্থায়ী হবে তার ট্রেনিং। প্রাথমিকভাবে তিনি ট্রেনিংয়ে যোগ দেবেন ৯ম বিগ্রেড ম্যারিন কর্পসে। সন ট্রেনিংয়ের পাশাপাশি কম্যুনিটি সার্ভিস দিবেন ৫৪৪ ঘণ্টা।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০২০
ইউবি