পরে বেকহামের পদাঙ্ক অনুরসরণ করে রোনালদোও ২০০৯ সালে পাড়ি জমান রিয়াল মাদ্রিদে। ততোদিনে অবশ্য ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে পৌঁছে গেছেন সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক।
অন্যদিকে বার্সেলোনায় তখন কুঁড়ি থেকে ফুল হয়ে ফুটেছেন লিওনেল মেসি। বলতে গেলে, লা লিগায় খেলার সুবাদে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডকে যত কাছ থেকে দেখেছেন, সেভাবে পূর্বসূরী রোনালদোকে দেখেননি বেকহাম।
বেকহাম-জিনেদিন জিদান-রোনালদো নাজারিও-রোনালদিনহো যুগ শেষ হয়ে অনেক বছর হয়। তাদের পর গত এক যুগ ধরে ফুটবল পাড়ায় একটি প্রশ্ন, ‘কে সেরা? মেসি নাকি রোনালদো?’ এই উত্তরে অবশ্য বার্সেলোনা ফরোয়ার্ডকে এগিয়ে রাখলেন বেকহাম।
গত ১২ বছরের ফুটবল ইতিহাসে মেসি-রোনালদো দুজনে মিলে ব্যালন ডি’অর জিতেছেন ১১ বার। ৫ বারের ব্যালন ডি’অরজয়ী রোনালদো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, রিয়াল মাদ্রিদ ঘুরে এখন খেলছেন ইতালিয়ান ক্লাব জুভেন্টাসে। ৩৫ বছর বয়সে এসেও এখনও নিজের পা জোড়ার দৌরাত্ম্য ধরে রেখেছেন তিনি।
অন্যদিকে রেকর্ড ছয়টি ব্যালন ডি’অরের মালিক মেসি আগামী জুনে পালন করবেন নিজের ৩৩তম জন্মদিন। শৈশবের ক্লাব বার্সেলোনার হয়ে ক্লাব পর্যায়ের সবকিছু জিতেছেন তিনি। তবে অধরা রয়ে গেছে দেশের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা।
এত এত অর্জন যাদের ঝুলিতে তাদের নিয়ে শ্রেষ্ঠত্বের প্রশ্ন তো ওঠবেই। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে মেসিকেই প্রথমে বেছে নিলেন বেকহাম। সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক আর্জেন্টাইন এক নিউজ অ্যাজেন্সিকে বলেন, ‘মেসির যে ক্লাস, সে ক্লাসে খেলোয়াড় হিসেবে সে একা। এটা অসম্ভব যে, তার মতো কেউ আছে। খেলোয়াড় হিসেবে কেউ তার মতো নয়। ’
বলতে গেলে, মেসির সঙ্গে রোনালদোর তুলনায় আনলেন না বেকহাম, ‘রোনালদো তার লেভেলে যেতে পারেনি। সে (মেসি) সবার সেরা। ’
৪৪ বছর বয়সী রেড ডেভিল কিংবদন্তি আরও বলেন, ‘দু’জনের মধ্যে কৌশল এবং প্রতিভায় কিছু সাদৃশ্য রয়েছে। দু’জনকে একই সময়ে খেলতে দেখাটা ফুটবলের জন্য বিষ্ময়জনক। তবে মেসিই বিশ্বের সেরা ফুটবলার। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০২০
ইউবি