মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে ১ বছরের জন্য ক্যাম্প ন্যু’র টাইটেল স্বত্ব বেচে দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে কাতালান ক্লাবটির নির্বাহী বোর্ড।
৯৯ হাজার আসন নিয়ে ইউরোপের সবচেয়ে বড় স্টেডিয়াম ক্যাম্প ন্যু।
স্বত্ব বিক্রি করে পাওয়া অর্থ শুধু বার্সেলোনা নয়, বরং সমস্ত মানবতার উপকারে ব্যবহার করা হবে বলে বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)-কে জানিয়েছেন ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট জর্দি কার্দোনের। তিনি নিজে কিছুদিন আগে করোনা সংক্রমণ থেকে মুক্ত হয়েছেন।
এর আগে ২০২৩-২৪ মৌসুমের জন্য স্টেডিয়ামের টাইটেল স্বত্ব বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বার্সা। ওই সময় ২৫ বছর মেয়াদী চুক্তি থেকে ৩০০ মিলিয়ন ইউরো আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিল বোর্ড। এ আয় থেকে ক্লাবের সার্বিক তত্ত্বাবধান করার চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছিল। তবে এখন আপাতত এক বছরের কথাই ভাবা হচ্ছে।
মাত্র এক বছরের জন্য টাইটেল স্বত্ব বিক্রি করে কি পরিমাণ অর্থ আয় সম্ভব সে ব্যাপারে কোনো ধারণা দেননি কর্দোনার। তবে লিওনেল মেসির তুমুল জনপ্রিয়তা আর প্রতি সপ্তাহেই এখানে আসা লাখো বার্সা ভক্তের কথা ভাবলে ক্যাম্প ন্যু যে বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ভেন্যু তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
বার্সেলোনা ফাউন্ডেশন (যার তত্ত্বাবধায়ক কার্দোনের) টাইটেল স্বত্ব বিক্রি থেকে পাওয়া অর্থ করোনাযুদ্ধের পেছনে ব্যয় করবে। এই ফাউন্ডেশন মূলত স্পেন এবং বিশ্বের ৫৮টি দেশে ঝুঁকির মুখে থাকা শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করে। তবে করোনাকালে তারা স্পেন ও অন্যান্য দেশের করোনার ঝুঁকিতে থাকা বয়স্ক নাগরিক এবং নার্সিং হোমগুলোতে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে চায়।
আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই একটা চুক্তি সেরে ফেলতে চায় বার্সা। এরপর ক্লাবের ১ লাখ ৪০ হাজার সাধারণ সদস্য এতে অনুমতি দিলে বাস্তবায়ন করা হবে। তবে টাইটেল স্বত্ব বিক্রি করলেও নাম ক্যাম্প ন্যু-ই থাকবে, সঙ্গে স্পন্সরের নাম যুক্ত করা হবে।
২০০৬ সালে ক্লাবের জার্সিতে ইউনিসেফের নাম ব্যবহার করেছিল বার্সা। এর আগে তারা কোনোদিন জার্সিতে স্পন্সরের নাম ব্যবহার করেনি। ২০১১ সালে ইউনিসেফের লোগো জার্সির পেছনে নেওয়া হয় এবং কর্পোরেট স্পন্সরের নাম সামনে আনা হয়। তবে এরপরও ইউনিসেফকে বার্ষিক ২ মিলিয়ন করে অনুদান দিয়ে যাচ্ছে বার্সা। মূলত এ থেকেই অনুপ্রাণিত হয়েছেন বার্সার ভাইস প্রেসিডেন্ট।
করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় প্রথমদিকেই আছে স্পেন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২০ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পর স্পেনই সবচেয়ে বেশি মৃত্যু দেখেছে। বার্সেলোনা এবং কাতালোনিয়া রাজ্যের আরও কয়েকটি শহর এখন করোনার হটস্পট।
বাংলাদেশ সময়: ২১১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২০
এমএইচএম/ইউবি