এ অবস্থায় কোপটা পড়তে পারে ক্যাম্প ন্যুয়ে সাফল্যের দেখা না পাওয়াদের ঘাড়ে। বিশেষ করে গত মৌসুমে ধারে বায়ার্ন মিউনিখে পাঠিয়ে দেওয়া ফিলিপ্পে কৌতিনহোর কপাল পোড়ার সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি।
চলতি মৌসুম শেষে কৌতিনহোর সঙ্গে স্থায়ী কোনো চুক্তি করতে আগ্রহী নয় বায়ার্ন। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের কয়েকটি দল অবশ্য প্রাথমিক আলোচনার পথে অনেকটাই এগিয়েছে। কিন্তু সেতিয়েন তার ওপর ভরসা হারাচ্ছেন না। সাবেক লিভারপুল প্লেমেকারকে তিনি 'দুর্দান্ত' খেলোয়াড় হিসেবেই দেখেন। ফলে তাকে হাতছাড়া করতে চাইছেন না বার্সা কোচ। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম 'মার্কা' এমনটাই জানিয়েছে।
ক্যাম্প ন্যুয়ে সেতিয়েনের পূর্বসূরি আর্নেস্তো ভালভার্দে সবসময় কৌতিনহোকে বাঁ প্রান্তে 'ফলস উইঙ্গার' হিসেবে খেলাতেন। কিন্তু ওই পজিশনে কখনোই খাপ খাওয়াতে পারেননি তিনি। মাঝে মাঝে গোল করার কারণে দলে টিকে গেলেও তার পারফরম্যান্স সমর্থকদের পছন্দ হয়নি। ফলে প্রায়ই দুয়ো শুনতে হতো তাকে।
বেচে দেওয়ার আগে কৌতিনহোর সমস্যা নিয়ে শেষ চেষ্টা চালানোর দায়িত্ব পেয়েছেন সেতিয়েন। আর সেই চেষ্টা চালাতে গিয়েই ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারকে মিডফিল্ডে ফেরত পাঠানোকে সেরা সমাধান হিসেবে দেখছেন তিনি।
আক্রমণভাগে খেলার দক্ষতার কারণে মিডলফিল্ডে ৮ নম্বর হিসেবে মানিয়ে নেওয়া সহজ হবে কৌতিনহোর জন্য। এতে আর্থার মেলো এবং ফ্র্যাঙ্কি ডি ইয়ং কিংবা সার্জিও বুসকেতসের পক্ষে তার পেছনে থেকে রক্ষণকে আরও শক্তিশালী করা সম্ভব হবে।
এদিকে পূর্বের চুক্তি অনুযায়ী, কৌতিনহো ১০০তম ম্যাচ খেলার পর লিভারপুলকে ২০ মিলিয়ন ইউরো দিতে হবে বার্সাকে। এখন পর্যন্ত তিনি ৭৪টি ম্যাচ খেলেছেন। গ্রীষ্ম পেরিয়েও যদি তিনি বার্সায় থেকে যান, তাহলে এই মাইলফলক অনায়াসেই স্পর্শ করতে পারবেন তিনি। কিন্তু সেতিয়েনের পরিকল্পনা বার্সার কর্তারা মেনে নেন কিনা সেটাই দেখার বিষয়।
এদিকে গত শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) কৌতিনহোর গোড়ালিতে অস্ত্রোপাচার সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে জানিয়েছে জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখ। সুস্থ না হওয়া পযর্ন্ত ২৭ বছর বয়সী ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডারকে দুই সপ্তাহের জন্য বিশ্রামে থাকতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২০
এমএইচএম