এরপরই চমক দেখানো আয়াক্সের সোনালি প্রজন্মের দিকে হাত বাড়িয়ে দেয় বার্সেলোনা-জুভেন্টাসের মতো ইউরোপের ধনী ক্লাবগুলো। ৭৫ মিলিয়ন ইউরো খরচ করে ২০১৯ সালের জুলাইয়ে আয়াক্সের ডাচ মিডফিল্ডার ফ্রাঙ্কি ডি ইয়ংকে ক্যাম্প ন্যুয়ে নিয়ে আসে কাতালানরা।
ইয়ংয়ের সতীর্থ মাথ্যিস ডি লিটের দিকেও হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল বার্সেলোনা-রিয়াল মাদ্রিদ-জুভেন্টাসের মতো ক্লাবগুলো। কিন্তু শেষ পযর্ন্ত ২০ বছর বয়সী ডিফেন্ডার চলতি মৌসুমের শুরুতে নতুন ঠিকানা হিসেবে বেছে নেন তুরিনকে। যেখানে তিনি সতীর্থ হিসেবে পান ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো-পাওলো দিবালাদের মতো তারকাদের।
কিন্তু এক মৌসুম শেষ না হতেই বন্ধু ডি ইয়ং ও লিওনেল মেসিদের বার্সেলোনায় যাওয়ার জন্য চিন্তা-ভাবনা করছেন ডি লিট। গুঞ্জন ওঠেছে, ২০১৮ সালের ‘গোল্ডেন বয়’কে নিয়ে আলোচনা চলছে বার্সা-জুভের মধ্যে।
স্পেনের জনপ্রিয় গণমাধ্যম মুন্দো দেপার্তিভো’র বরাতে এমনটাই জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমস। আমেরিকান অনলাইন গণমাধ্যমটি জানায়, ডি লিটের দিকে চোখ দিয়ে রাখা বার্সা আলোচনা করছে জুভদের সঙ্গে। এছাড়া দুই ক্লাব আলোচনা করছে ক্যাম্প ন্যুয়ের ক্রোয়েশিয়ান মিডফিল্ডার ইভান রাকিতিচকে বিনিময় করা নিয়েও।
তারা আরও জানায়, ডি লিটের ব্যাপারে বেশ আগ্রহী কাতালানরা। আর বার্সার ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার আর্থার মেলোকে নিয়ে আগ্রহী তুরিনের বুড়িরা।
কেবল ডি লিট নয়, বার্সার চোখ পড়েছে জুভেন্টাসের মেরিহ ডেমিরাল, মাত্তিয়া ডি স্কিগলিও, মিরালেম পিয়ানিচ, রদ্রিগো বেনতেনচার এবং ফেদেরিকো বার্নাদেস্চির দিকে।
জুভেন্টাসের আগেই ডি লিটকে দলে নিতে চেয়েছিল বার্সা। স্বয়ং ক্যাম্প ন্যু’র রাজা মেসি চেয়েছিলেন ডাচম্যানকে। জেরার্ড পিকের উত্তরসূরী হিসেবে ডি লিটের বিষয়ে চিন্তা করেছিলেন রেকর্ড ছয়বারের ব্যালন ডি’অরের মালিক।
মেসি জানতেন, রিয়াল মাদ্রিদ প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ ডি লিটের দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। তার জন্য আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড বার্সাকে অনুরোধও করেন, দ্রুত ডাচ সেন্টার-ব্যাকের সঙ্গে চুক্তি করে ফেলার।
কিন্তু তা আর সম্ভব হয়নি। লা লিগার দুই জায়ান্ট বার্সা-রিয়ালের পরিবর্তে ডি লিট বেছে নেন রোনালদোর জুভেন্টাসকে। করোনা ভাইরাসের কারণে ফুটবলের চলতি মৌসুম স্থগিত হওয়ার আগে সিরি’আ লিগে দুর্দান্ত ফুটবলও উপহার দিয়েছেন তিনি। কিন্তু তবুও পুনঃ বিবেচনা করছেন বার্সায় চলে যাওয়ার।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০২০
ইউবি