সুয়ারেস তখন লিভারপুল স্ট্রাইকার। ২০১১ সালে এক ম্যাচে চির প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মুখোমুখি হয়েছিল অলরেডরা।
সুয়ারেস নিষিদ্ধ হওয়ার পরপরই তিক্ত এক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয় ফরাসি ডিফেন্ডারকে। লিভারপুল সমর্থকরা একের পর মৃত্যুর হুমকি দিতে থাকেন এভরাকে। এমনকি মৃত্যুর হুমকিমূলক মেসেজ আসতে থাকে কারাবন্দী অলরেড সমর্থকদের কাছ থেকেও। যার কারণে সিকিউরিটি গার্ডও নিয়োগ দিতে হয় ইউনাইটেড তারকাকে।
এভরা তার সাবেক ক্লাব ইউনাইটেডের ওয়েবসাইটে এক অডিও বার্তায় বলেন, ‘আমার সম্পর্কে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড অনেক হুমকিমূলক বার্তা পেয়েছিল। লোকজন বলতো, আমরা কারাগারে বন্দী, আমরা লিভারপুল সমর্থক, যখন আমরা বের হবো তখন আমরা তোমাকে এবং তোমার পরিবারকে খুন করবো। ’
তিনি আরও বলেন, ‘দুই মাসের জন্য, যেখানে আমি যেতাম, সেখানেই সিকিউরিটি গার্ডদের নিয়ে যেতে হতো, তারা আমার বাসার সামনে ঘুমাতো, যেখানে আমি যেতাম, সিকিউরিটি গার্ডরা আমাকে অনুসরণ করতো। ’
পরিবার নিয়ে ভীত এভরা বলেন, ‘ওটা কঠিন সময় ছিল। আমি সন্ত্রস্ত ছিলাম না, তবে আমার পরিবার সন্ত্রস্ত ছিল। আমার স্ত্রী এবং আমার ভাই, কিন্তু আমি নই। আমি বুঝতে পারছিলাম না, কেন লোকজন আমাকে খুব ঘৃণা করতো। তারা সত্যটা জানতো না। ’
অবশ্য সেই ঘটনার ৯ বছর পর লিভারপুলের চেয়ারম্যান থেকে এক ক্ষমা প্রার্থনামূলক ইমেইল পেয়েছে জানান এভরা। ক্ষমা চেয়েছিলেন সুয়ারেসও। ততদিনে অবশ্য ঠিকানা পাল্টে ফেলেন দু’জনে। এভরা যোগ দেন জুভেন্টাসে আর সুয়ারেস বার্সেলোনায়।
২০১৫ সালের চ্যাম্পিয়নস লিগে যখন বার্সেলোনা ও জুভেন্টাস মুখোমুখি হয় তখন এভরার কাছে অতীত ঘটনার জন্য ক্ষমা চান সুয়ারেস। এমনটাই জানান এভরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০২০
ইউবি