ইন্টারে যোগ দিলেও নিজের বাসস্থান এখনও ঠিক হয়নি তার। এরই মধ্যে করোনার কারণে স্থগিত হয়ে পড়ে ফুটবলসহ পুরো ক্রীড়া বিশ্ব।
শুরুতে অবশ্য এরিকসেন তার ক্লাব সতীর্থদের গৃহে আশ্রয় নিতে চেয়েছিলেন। এমনকি তাদের বাসার সোফায় ঘুমিয়ে রাত কাটাতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কোভিড-১৯ ইতালিতে যেভাবে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে, তাতে কে কাকে আশ্রয় দেবেন? সাত-পাঁচ ভেবে অবশেষে তিনি ইন্টারের ট্রেনিং গ্রাউন্ডের সুবিধাকে বেছে নেন বসবাসের জন্য।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক ট্যাবলয়েড দৈনিক পত্রিকা দ্য সানকে নিজের এই অসুবিধার কথা জানিয়েছেন এরিকসেন। ২৮ বছর বয়সী তারকা বলেন, ‘আমি রোমেলু লুকাকু এবং অ্যাশলে ইয়ংয়ের সঙ্গে কথা বলার চিন্তা করছিলাম, কিন্তু তাদের পরিবার আছে, তাদের দেখাশোনা করতে হয় এবং টানা ১৪দিন কারও বাসার সোফায় ঘুমানো তা খুব দীর্ঘ সময়। ’
ইন্টার মিলান তারকা আরও বলেন, ‘পরিবর্তে, আমি একজন শেফ (পাঁচক) ও আর পাঁচজন স্টাফ নিয়ে ক্লাবের ট্রেনিং গ্রাউন্ডে থাকার ব্যবস্থাকে বেছে নিলাম। ওরা তাদের পরিবারকে করোনার সংক্রমণ থেকে পরিবারকে রক্ষা করার জন্য আমার সঙ্গে কোয়ারেন্টাইনে চলে আসে। ’
কিন্তু তাতেও সমস্যা থামেনি এরিকসেনের। একদিন পুলিশ তাকে থামিয়ে এসবের ব্যাখ্যা দিতে বলেন। আর সদ্য ইতালিতে আসা ২৮ বছর বয়সী সাবেক স্পার্স তার ভাঙা ভাঙা ইতালিতে সবকিছুর উত্তর দেন।
সেই দিনের কথা স্মরণ করে এরিকসেন আরও বলেন, ‘পুলিশ আমাকে থামায় এবং আমি ভাঙা ভাঙা ইতালিয়ানে এখানে কি করছিলাম সে বিষয়টা ব্যাখ্যা করি তাদের। আমি তাদের বলি আমি গৃহহীন। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২০
ইউবি