শনিবার (১৬ মে) রাতে বুন্দেসলিগা মাঠে ফিরেছে। প্রথমদিনের খেলায় ফুটবলারদের একসঙ্গে গোল উদযাপনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে দেখা গেছে।
মাঠে দর্শক ছিল না। লোক সমাগম বলতে কেবল দুই দলের খেলোয়াড়, কোচ, ক্লাব কর্মকর্তা, রেফারি, নিরাপত্তাকর্মী, মেডিক্যাল দল, ফটোগ্রাফার ও সাংবাদিক। জার্মান ফুটবল লিগ (ডিএফএল) কর্তৃপক্ষ আগেই নিয়ম করে দিয়েছে, ৩০০ জনের বেশি লোক মাঠের ভেতর থাকতে পারবে না। কিভাবে ম্যাচ চালাতে হবে তা নিয়ে ৫১ পৃষ্ঠার এক নির্দেশিকাও দেওয়া হয় ক্লাবগুলোকে।
নিয়মের বেড়াজাল দিয়ে কি আর গোল উদযাপন ঠেকিয়ে রাখা যায়? তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার প্রচেষ্টা দেখা গেছে সব ম্যাচেই। এই যেমন আরবি লিপজিগের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র ম্যাচে কনুই মিলিয়ে উদযাপন করেছেন ফ্রেইবুর্গের ম্যানুয়েল গুলদে এবং ক্রিস্টিয়ান গুন্তের।
বাকিরা তো আরও সৃষ্টিশীল উদযাপনে মেতেছেন। এই যেমন ভলফসবুর্গের ড্যানিয়েল গিনজেক এবং কেভিন এমবাবু একে অন্যের বুটে লাথি দিয়ে অগসবুর্গের বিপক্ষে করা গোল উদযাপন করেছেন।
তবে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের গোল উদযাপন সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছে। ফেরার ম্যাচে নিজেদের মাঠ সিগন্যাল ইদুনা পার্কে লুসিয়ান ফাভরের শিষ্যরা ৪-০ গোলে শালকে’কে উড়িয়ে দিয়েছে জার্মান জায়ান্টরা। ম্যাচের প্রথম প্রথম গোলটি আসে ১৯ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড আর্লিং ব্রট হরলান্ডের পা থেকে। গোলটি উদযাপনের সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নাচতে থাকেন হরলান্ড ও তার সতীর্থরা।
কিন্তু একটা ম্যাচের উদযাপন ছিল একেবারেই আলাদা। হফেনহেইমের বিপক্ষে ৩-০ গোলে জেতা হার্থা বার্লিনের গোলদাতা মার্কো গ্রুজিচের গালে তার সতীর্থ দেদ্রিক বয়াটা খেলোয়াড়রা সামাজিক দূরত্বকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চুমু এঁকে দিয়েছেন।
তবে বিষয়টাকে এখনই শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে না বলে জানিয়েছে জার্মান ফুটবল লিগ (ডিএফএল)। তারা বলছে, খেলোয়াড়দের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার উপদেশ দেওয়া হয়েছে, বাধ্য করার কোনো বিষয় নাকি তাদের হাতে নেই।
হার্থা কোচ ব্রুনো লাব্বাদিয়া বলেন, 'আমি আশা করব বাইরের মানুষ এটা বুঝতে পারবে। এটা (সামাজিক দূরত্ব) শুধুই একটা উপদেশ ছিল। আমাদের ছয়বারের করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছে। সর্বশেষটি এসেছে গতকাল (বৃহস্পতিবার)। আবেগ খেলারই অংশ, নয়তো খেলার তো কোনো মানেই হয় না। '
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২০
এমএইচএম