গত জানুয়ারিতে অস্ট্রিয়ান ফুটবল থেকে বুন্দেসলিগায় পাড়ি জমান হরলান্ড। বুন্দেসলিগায় বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের জার্সি গায়ে চাপাতেই যেন তার পায়ে গোলের বন্যা বইতে শুরু করেছে।
এই মৌসুমে হরলান্ডের মোট গোলসংখ্যা এখন পর্যন্ত ৪১টি। ক্যারিয়ারে এই সময়ে এমনকি লিওনেল মেসি ও ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো তার ধারেকাছে ছিলেন না। সবচেয়ে বড় কথা এই অর্জন মাত্র ১৯ বছর ৯ মাস এবং ২৩ দিন বয়সেই সম্পন্ন করেছেন তিনি। সর্বশেষ গোলটি তিনি ১৬ মে রাতে শালকের বিপক্ষে করেছেন।
এক মৌসুমে নামের পাশে ৪১ গোল যোগ করতে রোনালদোর চেয়ে কম সময় লেগেছিল মেসির। ২০০৯/১০ মৌসুমে ২২ বছর ১০ মাস এবং সাত দিন বয়সে এই মাইলফলক ছুঁয়েছিলেন বার্সা ফরোয়ার্ড। রোনালদোর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জার্সিতে ২০০৭/০৮ মৌসুমে যখন ৪২ গোল করেন, তখন তার বয়স ২৩ বছর ৩ মাস এবং ৬ দিন।
তবে এখনই মেসি ও রোনালদোর সঙ্গে তুলনা করার পর্যায়ে পৌঁছাননি হরলান্ড। কারণ ৪০ কিংবা তার বেশি গোল করার কীর্তি আরও কয়েক মৌসুমে আছে দুই কিংবদন্তির ঝুলিতে। তবে বয়সটা এখানে গুরুত্ব পাচ্ছে।
এমনকি কিলিয়ান এমবাপ্পে, নেইমার কিংবা আঁতোয়া গ্রিজম্যানও এই বয়সে এত গোলের দেখা পাননি। এক মৌসুমে ৪০ গোলের দেখা পেতে তাদের অনেকটা সময় অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে। যেমন বায়ার্ন ফরোয়ার্ড রবার্ট লেভানডভস্কির লেগেছিল ২৭ বছর, সমান সময় লেগেছিল পিয়েরে এমেরিক অবামেয়াংয়েরও। এদিনসন কাভানিকে অপেক্ষায় থাকতে হয় ২৭ বছর বয়স পর্যন্ত।
অবশ্য মোহামেদ সালাহ ও হ্যারি কেন কিছুটা দ্রুতই একই কীর্তির দেখা পান। লিভারপুলের মিশরীয় তারকা ২৫ এবং টটেনহামের ইংলিশ তারকার লেগেছিল ২৪ বছর। বার্সার উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার লুইস সুয়ারেস অবশ্য ২৩ বছর বয়সেই এই কীর্তি ছুঁয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২১০ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০২০
এমএইচএম