সম্প্রতি নিজের আত্মজীবনী 'ইন জর্জিও'তে সুয়ারেসের ওই কুখ্যাত কামড় কাণ্ড নিয়ে নিজের অনুভূতির কথা প্রকাশ করেছে চিয়েল্লিনি। সেখানেই তিনি লিখেছেন পরবর্তীতে বার্সা স্ট্রাইকার সুয়ারেসকে তিনি ওই ঘটনার জন্য ক্ষমা চাইতে বারণ করেছিলেন।
চিয়েল্লিনি লিখেছেন, 'সত্যি বলতে, আমি তার (সুয়ারেসের) ওই অপকর্মের প্রশংসা করি। কারণ, সে যদি এরকম না হতো তাহলে সে হারিয়ে যেত কিংবা সাধারণ খেলোয়াড়ে পরিণত হতো। ২০১৪ বিশ্বকাপের ওই ম্যাচে অস্বাভাবিক কিছুই হয়নি। আমি ম্যাচের অধিকাংশ সময় এদিনসন কাভানিকে মার্ক করে রেখেছিলাম। কাভানিও এমন এক জটিল খেলোয়াড় যার সঙ্গে লেগে থাকা খুব কঠিন। '
কামড়ের ওই মুহূর্তের কথা স্মরণ করে জুভেন্টাস অধিনায়ক লিখেছেন, 'হঠাৎ আমি বুঝতে পারলাম আমার ঘড়ে কেউ কামড় বসিয়েছে। ওইটুকুই, এর বেশি কিছু হয়নি। কারণ, শরীরী সংঘর্ষের খেলায় এই পদ্ধতিকেই সে ব্যবহার করেছিল। আমার মধ্যেও এমন কিছু কাজ করে। সুয়ারেস আর আমি প্রায় একইরকম এবং ওর মতো স্ট্রাইকারের মুখোমুখি হওয়াটা আমি পছন্দ করি। '
কামড় কাণ্ডের পর সুয়ারেসের সঙ্গে কী কথা হয়েছিল তার বর্ণনাও দিয়েছেন চিয়েল্লিনি, 'ম্যাচের কয়েকদিন পর আমি সুয়ারেসকে কল করেছিলাম, কিন্তু আমার কাছে তার ক্ষমা চাওয়ার কোনো দরকার ছিল না। আমিও মাঠে কম খারাপ নই এবং আমি এতে গর্বিত। এসব দুষ্টুমি এবং হালকা হাতাহাতি খেলারই অংশ। আমি এটাকে প্রতারণা বলব না। প্রতিপক্ষকে হারাতে আপনাকে অবশ্যই বুদ্ধিমান হতে হবে। '
প্রতিপক্ষ দলের খেলোয়াড়কে কামড়ে দেওয়ার অপরাধে তৎক্ষণাৎ কোনো শাস্তি না পেলেও পরবর্তীতে চার মাসের জন্য নিষিদ্ধ হন সুয়ারেস। আর সুয়ারেসের ওই অদ্ভুত কাণ্ডের কয়েক মিনিট পরেই ১-০ গোলে এগিয়ে যায় উরুগুয়ে, যা তাদের শেষ ষোলোতে পৌঁছে দেয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৩ ঘণ্টা, মে ২২, ২০২০
এমএইচএম