করোনা ভাইরাসের কারণে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে খেলা চলে। সিগনাল-ইদুনা পার্কে টানা সাতবারের চ্যাম্পিয়নদের আতিথেয়তা জানায় ডর্টমুন্ড।
প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচে শুরু থেকেই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ দেখা যায়। তবে খেলার প্রথমার্ধের শেষদিকে লিড নেয় সফরকারী বায়ার্ন। ৪৩তম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে দারুণ এক চিপে গোল করেন জশুয়া কিমিচ। ডর্টমুন্ডের সুইস গোলরক্ষক রোমান বুর্কি পিছিয়ে গিয়ে বলে হাত লাগান ঠিকই, কিন্তু আটকে রাখতে পারেননি।
দ্বিতীয়ার্ধে ভালো একটি সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি হালান্ড। ৭২তম মিনিটে বাঁ দিক থেকে জেডন স্যানচোর ক্রসে পা লাগাতে গিয়ে বেকায়দায় পা পড়ে ব্যথা পান হলান্ড। সঙ্গে সঙ্গে তাকে তুলে ১৭ বছর বয়সী ইংলিশ ফরোয়ার্ড জিওভানি রেইনাকে নামান ডর্টমুন্ড কোচ। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে মাঠ ছাড়েন এই এই নরওয়ের তারকা।
যদিও এর আগে ৫৬তম মিনিটেই এগিয়ে রেফারির চোখ এড়িয়ে না গেলে এগিয়ে যেতে পারতো স্বাগতিকরা। হলান্ডের শট সামনে পড়ে যাওয়া ডিফেন্ডার জেরোমে বোয়াটেংয়ের হাতে লেগে বাইরে চলে যায়। কিন্তু রেফারির না দেখা ও কোনো আবেদন না হওয়ায় পেনাল্টি পাওয়া হয়নি!
শেষদিকে রবার্ট লেভান্ডোভস্কির দূরপাল্লার শট পোস্টে বাধা পেলে ব্যবধান দ্বিগুণ করা হয়নি বায়ার্নের। কিন্তু বাকি সময়ে আর কোনো গোল না হওয়ায় দারুণ এক জয়ের আনন্দে মাঠ ছাড়ে হান্স ফ্লিকের দল।
দুদলের প্রথম দেখায় ঘরের মাঠে ৪-০ গোলে জিতেছিল বায়ার্ন। আর এবার ২৮ ম্যাচে ২০ জয় ও চার ড্রয়ে বায়ার্নের পয়েন্ট হলো ৬৪। দুইয়ে থাকা ডর্টমুন্ডের পয়েন্ট ৫৭।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৪ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০২০
এমএমএস