স্থগিত থাকা প্রিমিয়ার লিগের চলতি মৌসুম পুনরায় শুরু হতে আর বেশিদিন নেই। তার আগে ২৮তম জন্মদিন পালন করেছেন সালাহ।
অ্যানফিল্ডের অন্যতম তারকা সালাহকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছে তার ক্লাব লিভারপুল। এছাড়া তিনি কঠোর অনুশীলনের মাধ্যমে ক্যারিয়ারকে আরও সমৃদ্ধ করতে চাওয়ার বাসনা ব্যক্ত করেন ক্লাবটির ওয়েবসাইটে।
বর্তমানের সেরা ফুটবলারদের একজন সালাহ। দুর্দান্ত ফিনিশিং, ড্রিবলিং ও দ্রুত গতির জন্য অনেকে তাকে প্রশংসা করে ডাকেন ‘মিশরীয় মেসি’ নামে। ইতোমধ্যে ‘মিশরীয় কিং’ ‘পিরামিড পেলে’ও জুড়ে বসেছে তার সঙ্গে। এতসব উপাধি তার প্রাপ্রই বটে।
লিভারপুলকে টানা দু’বার (২০১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯ মৌসুম) চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে তোলার পথে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সালাহ। প্রথমবার রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে হেরে গেলেও গত মৌসুমে টটেনহামকে হারিয়ে অলরেডদের এনে দিয়েছেন ষষ্ঠ চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা।
সালাহকে প্রথমবার প্রিমিয়ার লিগে দেখা যায় চেলসির জার্সিতে। সুইস ক্লাব বাসেল থেকে ব্লুজ শিবিরে যোগ দেন তিনি। কিন্তু ২০১৪-১৬ মৌসুম স্টামফোর্ডে কাটালেও ম্যাচ খেলার তেমন সুযোগ হয়নি তার। পরে বেশি ম্যাচ খেলার আশায় স্ব-ইচ্ছায় ধারে চলে যান ইতালিয়ান সিরি’আ লিগের ক্লাব ফিওরেন্তিনায়। সেখান থেকে ফের ধারে রোমা। রোমান গ্লাডিয়েটররা পরে তার সঙ্গে স্থায়ী চুক্তি করে।
কিন্তু দারুণ ছন্দে থাকলেও স্তাদিও অলিম্পিকে আর বেশিদিন থাকেননি তিনি। ২০১৭ সালে যোগ দেন লিভারপুলে। যোগ দেওয়ার প্রথম মৌসুমেই স্ব-মহিমায় জ্বলে ওঠেন সালাহ। সেই মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে ৩৬ ম্যাচে ৩২ গোলের রেকর্ড গড়ে জিতে নেন গোল্ডেন বুট। ভূষিত হোন পিএফএ’র ‘প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার’।
২০১৭ ও ২০১৮ সালে ‘আফ্রিকান ফুটবলার অব দ্য ইয়ার’ খেতাবও জিতেন সালাহ। বিবিসি’র জরিপেও এই দুই বছরের আফ্রিকান অঞ্চলের সেরা ফুটবলার নির্বাচিত হোন তিনি।
চলতি মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় ১৬ গোল নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছেন সালাহ। সমান গোল নিয়ে ম্যাচ কম খেলায় তৃতীয় স্থানে ম্যানচেস্টার সিটির সার্জিও আগুয়েরো।
লিভারপুলের জার্সিতে এখন পযর্ন্ত প্রিমিয়ার লিগে ১০০ ম্যাচ খেলে ৭০ গোল করেছেন সালাহ। মিশরের হয়ে ৬৭ ম্যাচে করেছেন ৪১ গোল।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৫ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২০
ইউবি