২০১৫ সালের পর থেকে সেল্তার মাঠ থকে জয় নিয়ে ফিরতে পারেনি বার্সা। লিগে এ মাঠে গত চারটি ম্যাচের মধ্যে তিনটিতেই হেরেছে বার্সা, অন্যটি ড্র।
ব্যালাদোস স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই বল দখলে আধিপত্য দেখায় বার্সা। ম্যাচের ২০ মিনিটের এগিয়ে যায় দলটি। লিওনেল মেসির বাম পায়ের নেওয়া ফ্রি-কিক ফাঁকায় দাড়িয়ে থাকা লুইজ সুয়ারেজ ঠান্ডা মাথায় হেড দিয়ে বল জালে জড়ান। ১-০ গোলে এগিয়ে যায় কাতালানরা।
তবে এরপর সেল্তা ভিগো সমতায় ফেরার সুযোগ পেয়েছিল। ২৪ মিনিটের মাথায় সেল্তার ব্রাইজ মেন্দেজের বাম পায়ের নেওয়া শট বার্সা গোলরক্ষক টের স্টেগানের হাতে লেগে গোলবারে লেগে ফিরে আসে। এরপর ইয়াগো আসপাসের শট ফিরিয়ে দেন স্টেগান।
লিড ধরে রেখেই বিরতিতে যার বার্সা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরতেই সমতায় ফেরে সেল্তা ভিগো। ৫০ মিনিটে থ্রু পাস থেকে বল পেয়ে দ্রুত গতিতে পেনাল্টি ডি বক্সের ভিতরে নিয়ে যান আসপাস। গোল মুখের সামনে ফাঁকায় দাড়িয়ে থাকা ফেডর স্মলোভকে পাস দিলে আলতো টোকায় বল জড়ান তিনি।
৬৭ মিনিটে আবারও এগিয়ে যার বার্সা। পেনাল্টি ডি-বক্সের ভেতরে মেসির বাড়িয়ে দেওয়া বল পেয়ে বার্সাকে ২-১ গোলের লিড এনে দেন সুয়ারেজ।
৮০ মিনিটে সমতায় ফেরার সুযোগ পায় সেল্তা। পেনাল্টি বক্সের ভেতরে নোলিতোর নেয়ার ডান পায়ের শট ডান দিকে ঝাপিয়ে ফিরিয়ে দেন টার স্টেগান। নিশ্চত গোল বঞ্চিত হয় সেল্তা। তবে ৮৭ মিনিটে ঠিকই সমতায় ফেরে স্বাগতিক দলটি। অসাধারণ এক ফ্রি-কিক থেকে গোল করে দলকে ২-২ গোলে সমতায় ফেরান আসপাস।
ম্যাচের শেষ দিকে ইনজুরি সময়ে গোলের সহজ একটি সুযোগ নষ্ট করেন সেল্তার নোলিতো। ডেনিস সুয়ারেজের পাস থেকে গোলমুখে ফাঁকা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন তিনি। তার দুর্বল শট গোললাইন থেকে ফিরিয়ে দেন বার্সার গোলরক্ষক।
শেষ পর্যন্ত ২-২ গোলের ড্র করে এক পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে বার্সেলোনা। এই ড্রয়ে ৩২ ম্যাচে ৬৯ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে এসেছে সেতিয়েনের শিষ্যরা। আর এক ম্যাচ কম খেলে ৬৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৪৬ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২০
আরএআর