এশীয় ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থাটি নিজেদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে বাংলাদেশের জার্সিতে চুন্নুর তিনটি কীর্তির কথা স্মরণ করেছে।
১৯৭৫ থেকে ১৯৮৫ সাল পযর্ন্ত বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের হয়ে খেলেছেন চুন্নু।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অনেক স্মরণীয় মুহূর্ত উপহার দিয়েছেন চুন্নু। বাংলাদেশের জার্সিতে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে বাংলাদেশি হিসেবে প্রথম গোল, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে হ্যাটট্রিক এবং এশিয়ান কাপেও দেশের হয়ে তার গোলের কথা ফেসবুক পেজে উল্লেখ করেছে এএফসি।
১৯৮৫ সালটা স্মরণীয় হয়ে আছে দেশের ফুটবলে। সে বছর প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে অংশগ্রহণ করেছিল বাংলাদেশ। ১৯৮৬ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে লাল-সবুজদের প্রতিপক্ষ ছিল ভারত, ইন্দোনেশিয়া এবং থাইল্যান্ড।
১৯৮৫ সালের ৩০ মার্চ ঢাকায় ভারতের বিপক্ষে খেলতে নামে বাংলাদেশ। সে ম্যাচে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে গোল করেন চুন্নু। ম্যাচের ৩৪তম মিনিটে পিছিয়ে পড়লেও ৪২তম মিনিটে তার করা গোলে সমতায় ফিরে লাল-সবুজরা। ম্যাচটিতে অবশ্য শেষ মুহূর্তে গোল হজম করে বাংলাদেশ হেরে যায় ২-১ ব্যবধানে।
তবে সেই বাছাইপর্বেই বাংলাদেশ প্রথম জয়ের মুখ দেখে চুন্নুর গোলে। ১৯৮৫ সালের ০২ এপ্রিল কায়সার হামিদ ও চুন্নুর গোলে ইন্দোনেশিয়াকে ২-১ ব্যবধানে হারায় বাংলাদেশ।
তার আগে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের ফুটবলকে দারুণ এক জয় উপহার দিয়েছিলেন চুন্নু। ১৯৮৩ সালে ঢাকায় প্রেসিডেন্ট গোল্ডকাপে নেপালকে ৪-২ গোলে হারানোর ম্যাচে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে হ্যাটট্রিক করেন তিনি।
চুন্নুর কীর্তি এখানে শেষ নয়। দেশ সেরা এই ফরোয়ার্ড এএফসি এশিয়ান কাপেও বাংলাদেশের হয়ে প্রথম গোল করেছিলেন। ১৯৭৯ সালে ঢাকায় এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে আফগানিস্তানকে ৪-১ গোলে পরাজিত করার ম্যাচে দলের হয়ে প্রথম গোলটি করেছিলেন চুন্নু।
সেবার কাতারের সঙ্গে ড্র করে পরের বছর কুয়েতে অনুষ্ঠেয় এশিয়ান কাপের মূল মঞ্চে প্রথমবারের মতো জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। তবে এরপর আর কখনও লাল-সবুজদের এশিয়ান ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের মূল পর্বে দেখা যায়নি। এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বেও আলো ছড়িয়েছিলেন চুন্নু। উত্তর কোরিয়ার বিপক্ষে করেছিলেন দারুণ এক গোল।
বাংলাদেশ সময়: ০৭০০ ঘন্টা, জুন ২৯, ২০২০
ইউবি