এই অভিযোগ প্রমাণিত হলে ভাবমূর্তি সংকটে পড়তো লা লিগা চ্যাম্পিয়নরা। দলের মধ্যে ব্যক্তিগত সম্পর্কের অবনতিও হতো।
ঘটনার শুরু ২০১৭ সালে। ক্যাম্প ন্যুয়ের সাবেক, বর্তমান তারকা ও কোচদের নিয়ে ফেসবুক-টুইটারের বিভিন্ন অ্যাকাউন্ড থেকে নেতিবাচক প্রচারণা চালানো হয়। কার্লোস পুয়োল, জাভি হার্নান্দেজ, লিওনেল মেসি, জেরার্ড পিকে, কোচ পেপ গার্দিওলার নামে সেসব অপপ্রচার চালানোর জন্য অভিযোগের আঙুল ওঠে বার্তেমেউর দিকে।
বার্সা প্রেসিডেন্ট নাকি ক্যাম্প ন্যুয়ে নিজের আধিপত্যকে আরও সুসংহত করতে সেসব প্রচারণা চালিয়েছিলেন। তার জন্য তিনি তৃতীয় পক্ষকে ৯ কোটি ২১ লাখ টাকাও দিয়েছিলেন। তবে তদন্তে তার সত্যতা পাওয়া যায়নি।
গত ফ্রেব্রুয়ারিতে কে থি জোগাস নামের এক কাতালান গণমাধ্যম বিষয়টি নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তাতে দাবি করা হয় প্রেসিডেন্ট বার্তেমেউ ক্যাম্প ন্যুয়ে নিজের আধিপত্য বিস্তার ও ভাবমুর্তি উজ্জ্বল করতে আইথ্রি নামের এক গণসংযোগ প্রতিষ্ঠানকে অর্থ দেয়, বার্সা কিংবদন্তিদের নামে অপপ্রচার চালানোর।
তিন বছর আগে প্রায় শ’য়ের কাছাকাছি ফেসবুক-টুইটার আইডি থেকে মেসিদের নামের মিথ্যে রটনা চালানো এবং গুজবও ছড়ানো হয়। এতে বার্সার অভ্যন্তরীণ সমস্যার সৃষ্টি ঠিকই হয়েছে। বিষয়টি ‘বার্সাগেট’ কেলেঙ্কারি নামে তুলে ধরা হয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে।
তবে এবার স্পেনের মানি লন্ডারিং বিভাগ যে তদন্ত করলো, তাতে প্রেসিডেন্ট বার্তোমেউর এমন কর্মকাণ্ডের কোনো সংযোগ প্রমাণিত হয়নি। কে থি জোগাসের প্রতিবেদন নাকোচ করার পাশাপাশি যারা মিথ্যাচার করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওযা হবে জানিয়ে জোসেফ ভাইভস নামে এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ক্লাব এসব অভিযোগ অস্বীকার করছে এবং যারা আমাদের সততায় সন্দেহ প্রকাশ করেছিল তাদের বিরুদ্ধে বৈধ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০২০
ইউবি/এমএমএস