লোকবল কমানোর কারণ হিসেবে করোনার কারণে সৃষ্ট আর্থিক সঙ্কটের কথা অবশ্য সরাসরি স্বীকার করেনি ২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজক কমিটি। তবে কমিটির সেক্রেটারি জেনারেল হাসান আল থাওয়াদি সম্প্রতি করোনার কারণে বিশ্বজুড়ে শুরু হওয়া আর্থিক সঙ্কট নিয়ে দুশ্চিন্তার কথা জানিয়েছিলেন।
করোনার কারণে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ও ক্রীড়া আসর স্থগিত হয়ে যাওয়ায় ফিফা’র পৃষ্ঠপোষক কাতার এয়ারওয়েজ এবং বিশ্বকাপ ম্যাচের সম্প্রচারের দায়িত্বে থাকা দোহা-ভিত্তিক ‘বিএন স্পোর্টস’ সম্প্রতি লোকবল ছাটাই করেছে। এছাড়া আর্থিক চাপ সামলাতে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিদেশি শ্রমিকের সংখ্যা ৩০ শতাংশ কমাতে বলেছে দেশটির সরকার।
২০২২ বিশ্বকাপ উপলক্ষে নির্ধারিত ৮ স্টেডিয়ামের মধ্যে ৩টি স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজ এরইমধ্যে সমাপ্ত হয়েছে। এগুলোর উদ্বোধনও শেষ হয়েছে। ফলে এসব অবকাঠামো দেখভালের জন্য লোকবলের প্রয়োজন কমে গেছে।
অবকাঠামো নির্মাণের ৮৫ শতাংশ কাজ শেষ হওয়ায় বিশ্বকাপ আয়োজক কমিটি বলছে ‘লোকবল কমানো প্রয়োজন। কারণ বিশ্বকাপ আয়োজনের পরবর্তী পর্যায়ের কাজের জন্য এবার ভিন্ন ধরনের দক্ষ লোকবল প্রয়োজন। তবে ঠিক কতজন মানুষ চাকরি হারিয়েছেন তা জানা যায়নি। তবে যারা চাকরি হারাচ্ছেন তাদেরকে কাতারি শ্রম আইন অনুযায়ী সকল পাওনা পরিশোধ করা হবে বলে এক বিবৃতির মাধ্যমে জানিয়েছে বিশ্বকাপ আয়োজক কমিটি।
এর আগে বেশ কয়েকবার কাতারের বিশ্বকাপ অবকাঠামো নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকদের সঙ্গে অমানবিক আচরণের অভিযোগ করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। গত মাসে সংস্থাটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের জন্য নির্ধারিত আল-বাইত স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজের সঙ্গে যুক্ত ১০০ জন শ্রমিক প্রায় ৭ মাস বেতন পাননি।
অ্যামনেস্টির দাবি, তারা শ্রমিকদের সমস্যার ব্যাপারটি কাতার সরকার, ফিফা এবং বিশ্বকাপের আয়োজক কমিটির কাছে তুলে ধরেছিল। পরে এ কারণে অনেক শ্রমিক তাদের পাওনা বুঝে পেয়েছিলেন বলেও দাবি সংস্থাটির।
বাংলাদেশ সময়: ২১২১ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০২০
এমএইচএম