ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

‘কাতার বিশ্বকাপ হবে স্মরণীয় অভিজ্ঞতা’

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১২ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২০
‘কাতার বিশ্বকাপ হবে স্মরণীয় অভিজ্ঞতা’ কাতার বিশ্বকাপের আয়োজক কমিটির প্রধান নির্বাহী নাসের আল খাতের/ছবি: সংগৃহীত

২০২২ কাতার বিশ্বকাপ হবে সমর্থকদের জন্য স্মরণীয় এক অভিজ্ঞতা। আয়োজকরা আসন্ন বিশ্বকাপকে আধুনিক ফুটবলের ইতিহাসে সবচেয়ে পরিপূর্ণ আসরে পরিণত করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এমনটাই জানালেন কাতার বিশ্বকাপের আয়োজক কমিটির প্রধান নির্বাহী নাসের আল খাতের।

'সুইস বিজনেস কাউন্সিল কাতার' কর্তৃক আয়োজিত এক ওয়েবিনারে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘আমাদের পুরো ভাবনা এখন প্রায়োগিক পরিকল্পনা ঘিরে এবং আমরা সমর্থকদের এমন অভিজ্ঞতা দিতে চাই যা এই বিশ্বকাপকে করবে একেবারেই অনন্য।

আমরা সমর্থকদের পরিবহনের ক্ষেত্রে ভিন্ন এক অভিজ্ঞতা দিতে চাই, যাতে তারা এক দিনেই দুই ম্যাচ উপভোগ করতে পারে। ’

নাসের আল খাতের আরও বলেন, ‘আমরা কৌশলগত অঞ্চলে সমর্থকদের জন্য “ফ্যান জোন”র ব্যবস্থা করব, যেখানে তারা নানান কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবে। সবমিলিয়ে এটা হবে সমর্থকদের জন্য স্মরণীয় এক অভিজ্ঞতা। ’

কাতারের ব্যবসাখাতে করোনা মহামারির প্রভাব নিয়ে আলোচনার জন্য আয়োজিত সেই ওয়েবিনারে বিশ্বকাপ আয়োজনও বড় ইস্যু হিসেবে আলোচিত হয়। আল খাতের জানান, করোনার প্রভাব সত্ত্বেও বিশ্বকাপের আয়োজন বেশ জোরেশোরেই চলছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা ৮৫ ভাগ অবকাঠামো নির্মাণকাজ শেষ করেছি। চলতি বছরেই আরও দুই স্টেডিয়ামের নির্মাণকাজ শেষ হবে। ২০২১ সালের মধ্যে লুসাইল, আল থুমামা এবং রাস আবু আবুদের নির্মাণকাজ শেষ হবে। বিশ্বকাপ শুরুর এক বছর আগেই আমরা সব স্টেডিয়াম নির্মাণকাজ শেষ করব। ’

বিশ্বকাপ আয়োজনে করোনার প্রভাব বর্ণনা করতে আল খাতের বলেন, ‘মহামারি সবক্ষেত্রেই ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং অবশ্যই আমাদের প্রজেক্টও এর বাইরে নয়। যাই হোক, আমাদের প্রস্তুতি চলছে এবং আমরা সরকার নির্ধারিত প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছি। ’

সম্প্রতি ২০২২ বিশ্বকাপের জন্য নির্ধারিত তৃতীয় স্টেডিয়াম হিসেবে এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামের উদ্বোধন করা হয়েছে। এটাকে বেশ বড় অর্জন বলে জানান আল খাতের। তার আশা, করোনা মহামারি বিশ্বকাপ আয়োজনের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াবে না। তবে সম্ভাব্য যেকোনো বিপদের জন্য কাতার আগে থেকেই প্রস্তুত থাকবে বলে নিশ্চিত করেন তিনি।

এদিকে করোনা মহামারির প্রভাব এবার কাতার বিশ্বকাপেও পড়েছে। আর্থিক সঙ্কট এবং অন্যান্য কারণে লোকবল কমাচ্ছে আয়োজক দেশ কাতার। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘দ্য হিন্দু’র এক রিপোর্টে এমনটাই জানানো হয়েছে।

করোনার কারণে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ও ক্রীড়া আসর স্থগিত হয়ে যাওয়ায় ফিফা’র পৃষ্ঠপোষক কাতার এয়ারওয়েজ এবং বিশ্বকাপ ম্যাচের সম্প্রচারের দায়িত্বে থাকা দোহা-ভিত্তিক ‘বিএন স্পোর্টস’ সম্প্রতি লোকবল ছাটাই করেছে। এছাড়া আর্থিক চাপ সামলাতে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিদেশি শ্রমিকের সংখ্যা ৩০ শতাংশ কমাতে বলেছে দেশটির সরকার।

২০২২ বিশ্বকাপ উপলক্ষে নির্ধারিত ৮ স্টেডিয়ামের মধ্যে ৩টি স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজ এরইমধ্যে সমাপ্ত হয়েছে। এগুলোর উদ্বোধনও শেষ হয়েছে। ফলে এসব অবকাঠামো দেখভালের জন্য লোকবলের প্রয়োজন কমে গেছে।

তবে ঠিক কতজন মানুষ চাকরি হারিয়েছেন তা জানা যায়নি। তবে যারা চাকরি হারাচ্ছেন তাদেরকে কাতারি শ্রম আইন অনুযায়ী সকল পাওনা পরিশোধ করা হবে বলে এক বিবৃতির মাধ্যমে জানিয়েছে বিশ্বকাপ আয়োজক কমিটি।

বাংলাদেশ সময়: ২০১১ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২০
এমএইচএম/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।