স্প্যানিশ গণমাধ্যম এল মুন্দো এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, কাতালান পুলিশের বিশ্বাস তাদের কাছে বার্সেলোনা প্রেসিডেন্ট হোসে মারিয়া বার্তোমেউর বিপক্ষে দুর্নীতির অভিযোগ আনার জন্য পর্যাপ্ত প্রমাণ আছে। এমনিতে বেশ কয়েকদিন ধরে খবরের শিরোনাম হচ্ছেন তিনি।
লিওনেল মেসির ক্যাম্প ন্যু ছাড়ার অভিপ্রায়ের পেছনে অনেকে কারণ হিসেবে দেখছেন বার্তোমেউকে। অবশ্য এমন গুঞ্জনও চলছে যে, আর্জেন্টাইন তারকা আরেক মৌসুমের জন্য থাকতে পারেন কাতালোনিয়ায়। এমন আলোচনা-গুঞ্জন চলমান থাকতেই আবারও আলোচনায় বার্সা প্রেসিডেন্ট। আরেকটি বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি। বার্সার নাম ভাঙিয়ে নিজের স্বার্থ হাসিলের অভিযোগ উঠেছে বার্তোমেউর বিরুদ্ধে।
কাতালান পুলিশ বিভাগ দাবি করেছে, বার্সা প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ‘বার্সাগেট কেলেঙ্কারি’ বিষয়ে তাদের কাছে সুর্নিদিষ্ট প্রমাণ আছে। নিজের অর্থনৈতিক স্বার্থে বার্সার নাম ব্যবহার করে বার্তোমেউর বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধ করার অভিযোগ আনা হয়েছে। তার জন্য ইতোমধ্যে সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এক প্রতিবেদন বানিয়ে কোর্টেও পাঠানো হয়েছে।
এই ঘটনার শুরু ২০১৭ সালে। ক্যাম্প ন্যুয়ের সাবেক, বর্তমান তারকা ও কোচদের নিয়ে ফেসবুক-টুইটারের বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে নেতিবাচক প্রচারণা চালানো হয়। কার্লোস পুয়োল, জাভি হার্নান্দেজ, লিওনেল মেসি, জেরার্ড পিকে, কোচ পেপ গার্দিওলার নামে সেসব অপপ্রচার চালানোর জন্য অভিযোগের আঙুল উঠে বার্তোমেউর দিকে।
বার্সা প্রেসিডেন্ট নাকি ক্যাম্প ন্যুয়ে নিজের আধিপত্য ও পদকে আরও সুসংহত করতে সেসব প্রচারণা চালিয়েছিলেন। তার জন্য তিনি তৃতীয় পক্ষকে ৯ কোটি ২১ লাখ টাকাও দিয়েছিলেন।
গত ফ্রেব্রুয়ারিতে কে থি জোগাস নামের এক কাতালান গণমাধ্যম বিষয়টি নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তাতে দাবি করা হয় প্রেসিডেন্ট বার্তোমেউ ক্যাম্প ন্যুয়ে নিজের আধিপত্য বিস্তার ও ভাবমুর্তি উজ্জ্বল করতে আইথ্রি নামের এক গণসংযোগ প্রতিষ্ঠানকে বার্সা কিংবদন্তিদের নামে অপপ্রচার চালানোর জন্য অর্থ দেয়।
তিন বছর আগে প্রায় শ’য়ের কাছাকাছি ফেসবুক-টুইটার আইডি থেকে মেসিদের নামের মিথ্যা রটনা চালানো এবং গুজবও ছড়ানো হয়। এতে বার্সার অভ্যন্তরীণ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি ‘বার্সাগেট কেলেঙ্কারি’ নামে তুলে ধরা হয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২০
ইউবি