দীর্ঘ ১৬ বছর পর ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ফিরে কি দাপটাই না দেখাচ্ছে লিডস ইউনাইটেড। অবশ্য এর পেছনের কারিগত মার্সেলো বিয়েলসা।
এদিন রাহিম স্ট্রার্লিংয়ের গোলে সিটি প্রথমে এগিয়ে যায়। তবে রদ্রিগোর গোলে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে পেপ গার্দিওলার সিটিকে রুখে দেয়।
শনিবার ঘরের মাঠ এলান্ড রোডে সিটিকে আতিথেয়তা জানায় লিডস। আর ম্যাচেও দারুণ আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে বিয়েলসার শিষ্যরা। অবশ্য খেলার চতুর্থ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো সিটি। কেভিন ডে ব্রুইনের ফ্রি-কিক পোস্টে বাধা পেলে গোল বঞ্চিত হয় দলটি।
তবে ১৭তম মিনিটেই লিড নেয় সিটিজেনরা ডি-বক্সে বল ধরে আড়াআড়ি গিয়ে ডান পায়ের জোরালো শটে গোলররক্ষককে পরাস্ত করেন স্টার্লিং। আট মিনিট পর ভালো একটি সুযোগ পেয়েছিল লিডস। তবে স্টুয়ার্ট ডালাসের প্রচেষ্টা দারুণ নৈপুণ্যে ঠেকিয়ে জাল অক্ষত রাখেন গোলরক্ষক এদেরসন।
বিরতির পর আক্রমণের ধার আরও বাড়ায় লিডস। এবার বলের দখল নিয়ে সমতায়ও ফেরে তারা। অবশ্য ৫৯তম মিনিটে সিটি গোলরক্ষক এদেরসনের ভুলে গোল হজম করে সিটি। কর্নার থেকে উড়ে আসা বল পাঞ্চ করতে গিয়ে ঠিকমতো পারেনিন তিনি। ছোট ডি-বক্সের মুখে জটলার মধ্যে বল পেয়ে জালে ঠেলে দেন গত মাসে ভালেন্সিয়া থেকে আসা রদ্রিগো।
এই এদারসনই আবার সিটিকে হারের হাত থেকে বাঁচান। পরবর্তীতে লিডসের বেশ কয়েকটি বড় আক্রমণ প্রতিহত করেন এই ব্রাজিলিয়ান। ৭০তম মিনিটে রদ্রিগোর হেড দারুণ নৈপুণ্যে কোনোমতে ঠেকান তিনি, বল তার হাত ছুঁয়ে লাগে ক্রসবারে। পরে ৮৬তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণে আবারও সুযোগ পায় লিডস। কিন্তু এগিয়ে আসা এদেরসন বরাবর প্যাট্রিক ব্যামফোর্ড শট নিলে হাফ ছাড়ে সিটি।
লিগে দুই জয়, এক ড্র ও এক হারে ৭ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচ নম্বরে উঠে এসেছে লিডস। তবে তিন ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে দশম স্থানে আছে ম্যানচেস্টার সিটি। চার ম্যাচের সবকটিতে জিতে ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে এভারটন। সমান ৯ পয়েন্ট নিয়ে দুই ও তিন নম্বরে যথাক্রমে লেস্টার সিটি ও লিভারপুল। ৭ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে চেলসি।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০২০
এমএমএস