দুই বছর আগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে চাকরিচ্যুত হয়েছিলেন হোসে মরিনহো। পর্তুগিজ কোচ সেই ‘অপমান’ যে ভুলেননি তার প্রমাণ দিলেন এবার।
গত বছর টটেনহামের দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি। এবার স্পার্সদের নিয়ে পুরনো ঠিকানা ওল্ড টাফোর্ডে ফিরেই ইউনাইটেডকে বিধ্বস্ত করলেন মরিনহো। প্রথমার্ধে ১০ জনের দল হয়ে পড়া রেড ডেভিলদের ৬-১ ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছে হ্যারি কেন-সন হিয়ুং মিনরা। দুই ফরোয়ার্ডই পেয়েছেন জোড়া গোল।
ইউনাইটেড শেষবার এমন লজ্জায় ডুবেছিল ২০১১ সালে। নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষেও ৬-১ ব্যবধানে হেরেছিল তারা। মরিনহো বরখাস্ত হওয়ার পর ২০১৮ সালে রেড ডেভিলদের দায়িত্ব নেন ওলে গানার সুলশার। নরওয়েজিয়ান কোচের এটাই সবচেয়ে বড় পরাজয় নয়, বরং ২০১৩ সালে ইউনাইটেডের নির্বাহী ভাইস-চ্যান্সেলরের দায়িত্ব নেওয়া এড ওডওয়ার্ডেরও সময়কালেও বড় হারের লজ্জা। অন্যদিকে নিজেদের ইতিহাসে ওল্ড টাফোর্ডে সবচেয়ে বড় জয় পেলো টটেনহাম।
অবশ্য ম্যাচের শুরুর দ্বিতীয় মিনিটেই ব্রুনো ফার্নান্দেসের নেওয়া পেনাল্টি থেকে এগিয়ে গিয়েছিল ইউনাইটেড। তবে চতুর্থ মিনিটেই এনদোম্বেলে সমতায় ফেরান টটেনহামকে। সপ্তম মিনিটে স্পার্সদের লিড এনে দেন সন মিন। কোরিয়ান ফরোয়ার্ড নিজের দ্বিতীয় গোল করেন ৩৭তম মিনিটে। তার আগে ২৮তম মিনিটে অ্যান্থনি মার্শাল লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে ১০জনের দল হয়ে পড়ে ইউনাইটেড।
সেই সুযোগে ৩০তম মিনিটে গোলের খাতা খুলেন কেন। ইংলিশ ফরোয়ার্ড নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন ৭৯তম মিনিটে, পেনাল্টি থেকে। তার আগে ৫১তম মিনিটে গোলের দেখা পান সের্গে অরিয়ের।
এই দাপুটে জয়ে ৪ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের চলতি মৌসুমের তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে ওঠে এসেছে স্পার্সরা। ৩ ম্যাচে মাত্র ৩ পয়েন্ট পাওয়া ইউনাইটেডের ঠাঁই হয়েছে ১৬তম স্থানে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০২০
ইউবি