বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে নিজ নিজ দলের প্রথম ম্যাচে গোলের দেখা পেয়েছেন লিওনেল মেসি ও লুইস সুয়ারেস। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে পাওয়া গোলে একটি মাইলফলকও স্পর্শ করেছেন দুই সাবেক ক্লাব সতীর্থ ও ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের দলগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে এতদিন সর্বোচ্চ গোলের মালিক ছিলেন রোনালদো নাজারিও। ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তির গোলসংখ্যা ৩৯টি। এবার সেই রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন মেসি ও সুয়ারেস।
রোনালদোর রেকর্ডে ভাগ বসানোর পথে মেসি ও সুয়ারেস দুজনেই পেনাল্টি থেকে গোল করেছেন। এর মধ্যে মেসির একমাত্র গোলেই ইকুয়েডরকে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। আর চিলির বিপক্ষে উরুগুয়ের ২-১ গোলে পাওয়া জয়ে প্রথম গোলটি আসে সুয়ারেসের পা থেকে।
অবশ্য আন্তর্জাতিক ফুটবলে গোলসংখ্যার দিকে থেকে রোনালদো এবং সুয়ারেসের চেয়ে অনেকটা এগিয়ে মেসি। আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের গোলসংখ্যা ৭১টি। ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকারের গোলসংখ্যা ৬২টি। অন্যদিকে উরুগুইয়ান স্ট্রাইকারের গোলসংখ্যা ৬০টি।
ইকুয়েডর ম্যাচে বল পায়ে বেশ কয়েকবার সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে ব্যর্থ হন মেসি। পুরো ম্যাচে মাত্র একবারই প্রতিপক্ষের পেনাল্টি বক্সে শট নেন তিনি। আর ১৩তম মিনিটের ওই একমাত্র শটে তথা পেনাল্টি থেকে একমাত্র গোলটি করেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। তবে দু’বার সুযোগ তৈরি করেছিলেন তিনি। কিন্তু সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি তার সতীর্থরা।
সুয়ারেসের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা অনেকটা মেসির মতোই। চিলি ম্যাচের পুরো ৯০ মিনিটে একবারই প্রতিপক্ষের জাল লক্ষ্য করে শট নিয়েছেন তিনি। সেই শটও পেনাল্টি থেকেই। পরে যোগ করা সময়ে ম্যাক্সি রদ্রিগেসের গোলে জয় নিশ্চিত করে অস্কার তাবারেজের দল।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০২০
এমএইচএম