ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছিলেন এক নারী। এ নিয়ে রীতিমত হইচই পড়ে গিয়েছিল।
বছর দুয়েক আগে আলোচিত সেই ধর্ষণ মামলার শুনানি হয়েছিল। কিন্তু মাঝে অনেকদিন এ বিষয়টি নিয়ে আর কোনো খবর শোনা যায়নি। তবে আবারও যুক্তরাষ্ট্রে সেই ধর্ষণ মামলার শুনানি শুরু হতে যাচ্ছে। নেভাদায় ফেডারেল জজের সামনে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে এই শুনানির। যে শুনানিতে উপস্থিত থাকতে হতে পারে রোনালদোকে।
এখনো শুনানির নির্দিষ্ট কোনো তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি। তবে জজ জেনিফার ডোরসি বলেন, ‘দুই পক্ষের যুক্তি-তর্ক শুনেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ধর্ষণের অভিযোগ তোলা ক্যাথেরিন মায়োরগার কথাও শোনা হবে। ’
২০১৮ সালে জার্মান ম্যাগাজিন ‘দের স্পিগেল’ সম্প্রতি এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানেই ক্যাথরিন মায়োরগা নামের এক নারী রোনালদোর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন। ম্যাগাজিনে মায়োরগা অভিযোগে জানান, ২০০৯ সালে লাস ভেগাসের পামস প্লেস হোটেলে তাকে ধর্ষণ করেন রোনালদো।
কিন্তু এত বছর পর কেন এমন অভিযোগ, এমন প্রশ্নের উত্তরে মায়োরগা জানান, জুভেন্টাস তারকা তাকে ৩ লাখ ৭৫ হাজার মার্কিন ডলার দিয়ে কাউকে কিছু না বলার জন্য মুখ বন্ধ রাখতে বলেন। মায়োরগার দাবি, আদালতে না যাওয়ার জন্য রোনালদো তাকে এই অর্থ দেন। সেই সময় ওই পরিমাণ অর্থ পেয়ে ও কিছুটা ভয়েই মুখ খোলেননি ওই মার্কিন নারী।
অবশ্য এবারই প্রথম নয়। বছর দেড়েক আগে এই ম্যাগাজিন আরও একবার মায়োরগার পক্ষ থেকে রোনালদোর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তোলে। সেবার অবশ্য অভিযোগ ধোপে টেকেনি। আবারও সেই একই অভিযোগ তোলায় রোনালদোর আইনজীবী ম্যাগাজিনের বিপক্ষে আদালতে যাওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন।
রোনালদোর পক্ষ থেকে ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করে তার আইনজীবি জানান, ২০০৯ সালে মায়োরগা তার সঙ্গে স্বেচ্ছায় যৌনতায় লিপ্ত হয়েছিলেন। ফলে ধর্ষণের অভিযোগ ভিত্তিহীন। তবে ঘটনার ৯ বছর পেরিয়ে যাওয়ার পর ২০১৮ সালে ওই নারীর অভিযোগ পুনরায় তদন্ত শুরু করে লাস ভেগাস পুলিশ।
ধর্ষণের অভিযোগের ব্যাপারে ২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর এক টুইটে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে রোনালদো লেখেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগটি আমি দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। ধর্ষণ এমনই এক অপরাধ যা সবকিছুকে ছাপিয়ে যায়, এবং আমি সেটাই বিশ্বাস করি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০২০
এমএইচএম