গত মৌসুমের পর লিওনেল মেসিকে নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। বার্সেলোনার চূড়ান্ত ব্যর্থতার পর নিজের প্রাণের এই ক্লাব ছাড়তে চেয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু মেসি না যাওয়াতে যে বার্সা থেকে শুরু করে পুরো লা লিগা আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছে, এটা স্বীকার করে নিলেন লা লিগা সভাপতি হাভিয়ের তেবাস। তিনি আর্জেন্টাইন অধিনায়ককে উপমা দিতে গিয়ে জানান, মেসি অর্থ আয়ের যন্ত্র।
মূলত চ্যাম্পিয়নস লিগে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে বার্সা বিধ্বস্ত হওয়ার পরই ক্লাবের নানা অসংগতি তুলে ধরে চলে যেতে চেয়েছিলেন মেসি। যেখানে তাকে পেতে ইন্টার মিলান ম্যানচেস্টার সিটি উঠেপড়ে লেগেছিল।
তবে বার্সা মেসির চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ৭০০ মিলিয়ন ট্রান্সফারের দাবি করে বসে। কিন্তু মেসি চেয়েছিলেন এর বাইরে গিয়ে ফ্রি ট্রান্সফারে দল ছাড়তে।
ইতালিয়ান পাবলিকেশনস লা গাজ্জেত্তা দেল্লো স্পোর্তকে দেওয়ার এক সাক্ষাৎকারে তেবাস বলেন, ‘মেসি স্পেনে খেলছে এটি দেখতে আমি ভালোবাসি। সে অর্থ তৈরির যন্ত্র। ’
অবশ্য মেসির মতো বড় তারকারা চলে গেলেও যে লিগ ঠিকঠাক চলবে সে কথাও শুনিয়ে দেন তেবাস, ‘আমরা কয়েক বছরে ধরেই মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর চলে যাওয়ার ব্যাপার নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। যাতে করে আমরা অর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হই। নেইমার প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ে চলে গেছে, তবে ফরাসি লিগ আন্তর্জাতিকভাবে সেভাবে সাড়া জাগাতে পারেনি। ক্রিস্টিয়ানো তুরিনে (জুভেন্টাসে) গেছে, এমনকি সিরিআ’তেও তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। ’
মেসি চলে গেলে লা লিগার যে কিছুটা হলেও ক্ষতি হতো সেটা চোখ বুঝেই বলা যায়। কিন্তু লিগের ব্র্যান্ডের বড় ধরনের ক্ষতি হতো না বলে জানান তেবাস।
‘মেসি যদি চলেও যেত, এমনকি আমরা বিশ্বব্যাপী আগামী চার মৌসুমের স্বত্ত্ব বিক্রি করে রেখেছিলাম। এদের কেউ আমাদের বলেনি মেসি চলে গেলে তারা চুক্তি শেষ করবে। ’
‘খেলোয়াড়রা গুরুত্বপূর্ণ, তবে ক্রিস্টিয়ানো ও নেইমার চলে যাওয়ার পরও আমরা নিজেদের ধরে রেখেছি। এটা হয়েছে কেননা আমরা লা লিগার ব্র্যান্ডকে জাগিয়ে রেখেছিলাম। একজন খেলোয়াড় পুরো লিগকে ঘুরিয়ে দিতে পারে না। আমি মনে করি, লা লিগা একটা ব্র্যান্ড এবং এ নিয়ে আপোস করা যায় না। ’-যোগ করেন তেবাস।
বার্সার হয়ে এখন পর্যন্ত সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৭৩৪টি ম্যাচ খেলেছেন মেসি। যেখানে ২০০৫ সালে কাতালান জার্সিতে তার অভিষেক হয়েছিল। আর এই দলের হয়ে ৬৩৫টি গোল ও ২৭৯ গোলে সহায়তা করেছেন ছয়বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০২০
এমএমএস