ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

ফুটবল

বিদায় ‘বার্সেলোনার মেসি’!

রাকিব উদ্দীন, নিউজরুম এডিটর (স্পোর্টস) | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০২১
বিদায় ‘বার্সেলোনার মেসি’!

বার্সেলোনায় দীর্ঘ ২১ বছর দুর্দান্ত এক ক্যারিয়ার শেষ করে ক্লাবটিকে বিদায় জানিয়েছেন লিওনেল মেসি। গত দুই যুগ ধরে স্প্যানিশ এ ক্লাবকে একের পর এক শিরোপা জিতিয়েছেন আর্জেন্টাইন এ ফরোয়ার্ড।

বলতে গেলে বার্সার জার্সিতে প্রায় সবকিছুই জিতেছেন তিনি। কাতালান ক্লাব লিজেন্ড হয়ে বিদায় নেয়া এ তারকা বার্সার অদূরে পিএসজিতে শুরু করলেন নতুন এক অধ্যায়।

সেই ছেলেবেলায় যে ক্লাব থেকে মেসির উত্থান সে ক্লাব মেসিকে ছাড়তে হলো অশ্রুসিক্ত হয়ে। লা লিগার ফিনান্সিয়াল ফেয়ার প্লে নিয়মসহ আরো কিছু অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে কাতালানদের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করতে হয়েছে ক্লাব ইতিহাসের সেরা এ ফুটবলারকে। এই ২১ বছরে তিনি বার্সাকে যা দিয়ে গেছেন তা হয়তো গুনে শেষ করা যাবে না। তন্মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনা নিয়ে একনজরে কিংবদন্তি এ ফুটবলারের যাত্রাটা দেখে আসি।

২০০০ সালের ১৭ নভেম্বর বাবা হোর্হে মেসির হাত ধরে কাতালুনিয়ায় আসে ১৩ বছর বয়সী ছোট্ট মেসি। উচ্চতায় মাত্র ১.৪৮ মিটার, কিন্তু সাহসের কোনো কমতি ছিলো না তার চেহারায়। তার প্রমাণও দিলেন ট্রায়াল ম্যাচে অংশগ্রহণ করে। কোচকে মুগ্ধ করে বার্সেলোনার সদস্য হয়ে গেলেন বর্তমান বিশ্বের সেরা এ ফুটবলার।

২০০১ সালের জানুয়ারিতে অফিশিয়াল ফুটবলার হিসেবে মাঠে নামলেও এক দুর্ঘটনা এ ক্ষুদে যাদুকরকে তিন মাস মাঠের বাইরে নিয়ে যায়। কিন্তু এ ইনজুরি তাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। তিন মাস পর স্বরূপে ফিরে আবারো পায়ের যাদু দেখিয়ে জায়গা করে নেন কিশোর দলে।

২০০২ সালে ক্লাবের কিছু নিয়মতান্ত্রিক জটিলতার কারণে কিশোর টিমে খেলা হয়নি মেসির। তাতে অবশ্য দমিয়ে রাখা যায়নি তাকে। দিন যত গড়িয়েছে তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্স মুগ্ধ করেছে সবাইকে।

২০০৩ সালে মেসির অসাধারণ ড্রিবলিং, স্পিড, অ্যাটাকিং, প্লেমেকিং তাকে নিয়ে যায় বি-টিমে। এবছরের ১৬ নভেম্বর দুর্দান্ত ফর্মে থাকা হোসে মরিনহোর দল পোর্তোর বিপক্ষে তার অভিষেক হয়।  

২০০৪ সালে বি-টিমে সফলভাবে খেলা চালিয়ে যাওয়া মেসি অবশ্য মূল দলের সঙ্গে ফ্রাঙ্ক রাইকার্ডের অধীন কয়েকটি প্রীতি ম্যাচ খেলেন। পায়ের যাদু দেখিয়ে ১৬ অক্টোবর শেষ পর্যন্ত আর্জেন্টাইন এ তারকা জায়গা করে নেন মূল দলে। মাত্র ১৭ বছর ২২ দিন বয়সী মেসি সেদিন এস্পানিওলের বিপক্ষে বদলি খেলোয়াড় হয়ে নেমেছিলেন।  

২০০৫ সালের মে মাসের ১ তারিখে আলবাস্তের বিপক্ষে মাঠে নেমে গোলের সূচনা করে নাম লেখান বার্সেলোনার সবচেয়ে কম বয়সী গোল স্কোরারের তালিকায়। এবছর অবশ্য নিজ দেশ আর্জেন্টিনার হয়ে অনুর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপের সেরা ফুটবলার হিসেবে নির্বাচিত হন। জিতে নেন ‘গোল্ডেন বয়’ পুরস্কার।  

২০০৬ সালে কাতালানরা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতলেও ফাইনাল ম্যাচে চেলসির বিপক্ষে খেলতে নেমে হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে পড়ে ছিটকে যান মেসি। ইনজুরি থেকে ফিরে দেশের হয়ে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেন। এবছর দলের হয়ে সেভিয়ার বিপক্ষে মাঠে নেমে স্প্যানিশ সুপার কাপও জিতেন আর্জেন্টাইন এ তারকা।

২০০৭ সালে লা লিগায় গেতাফের বিপক্ষে দুর্দান্ত এক গোল করেন মেসি। চোখ জুড়ানো এ গোলে প্রায় ৬২ মিটার দূর থেকে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারদের একের পর এক পরাস্ত করে জাল খুঁজে নেন তরুণ এ বার্সা ফরোয়ার্ড। এবছরই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে হ্যাটট্রিং করেন তিনি।

২০০৮ সালে বার্সেলোনার হয়ে ১০০তম ম্যাচে মাঠে নামেন মেসি। তবে ইনজুরির কারণে বেশি ম্যাচ খেলতে পারেননি তিনি। এবছর ক্লাবটির সবচেয়ে সফল কোচ পেপ গার্দিওলা দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তার অধীনে খেলে মেসি সেরা ফুটবলারের তকমা পান।

২০০৯ সাল বার্সেলোনার সবচেয়ে সফল একটি বছর। এবছর প্রথমবারের মতো লা-লিগা, কোপা দেল রে এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতে নেয় কাতালানরা। আর এক ক্যালেন্ডার বছরে সবচেয়ে বেশি গোল করে রেকর্ডের পাতায় নাম লেখান মেসি। জিতে নেন প্রথমবারের মতো ব্যালন ডি’অর।

২০১০ সালে লা লিগার পয়েন্ট টেবিলে ৯৯ পয়েন্ট নিয়ে টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন হয় বার্সেলোনা। এবছর একের পর এক রেকর্ডের পাতায় নাম লেখাতে থাকেন মেসি। বিশ্বের প্রথম কোনো ফুটবলার হয়ে এক মৌসুমে টানা দুই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করে ইতিহাসে নাম লেখান আর্জেন্টাইন এ ফরোয়ার্ড। পিচিচির পাশাপাশি টানা দ্বিতীয়বারের মতো জিতে নেন ব্যালন ডি’অর।

২০১১ সালে আরো একটি দুর্দান্ত বছর কাটে বার্সেলোনার। ক্লাবটির হয়ে লা-লিগা, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, স্প্যানিশ সুপার কাপ, ইউরোপিয়ান সুপার কাপ ও ক্লাব বিশ্বকাপ জিতে নেয় লিওনেল মেসি। এবছর ৫৫টি গোল করে উয়েফার সেরা প্লেয়ারের পাশাপাশি টানা তৃতীয়বারের মতো আর্জেন্টাইন এ তারকা জিতে নেয় ব্যালন ডি’অর।

২০১২ সালে বার্সেলোনার হয়ে শুধু কোপা দেল রে জিতলেও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে লিওনেল মেসি ছিলেন উজ্জ্বল। ৯১ গোলের রেকর্ড গড়ে তিনি জিতে নেন পিচিচি ট্রপি ও ব্যালন ডি’ওর। এবছর তিনি বার্সেলোনার হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতার খাতায় নাম লেখান।

২০১৩ সাল তেমন ভালো কাটেনি মেসির। এবছর স্প্যানিশ ট্যাক্স অফিস থেকে মেসিকে তলব করে। যে কারণে প্রায় ক্লাব ছাড়ার দ্বারপ্রান্তে যেতে হয় এ ক্লাব লিজেন্ডকে। অবশ্য ব্যক্তিগতভাবে পারফরম্যান্সের কমতি ছিলো না এ তারকার। লা লিগার টপ স্কোরার হয়ে জিতে নেন ইউরোপের গোল্ডেন বুট।

২০১৪ সালে ট্যাক্সের বিষয়ে ঝামেলার কারণে এবছর বার্সেলোনার হয়ে কিছুই জেতা হয়নি মেসির। ট্রফিবিহীন মৌসুমে ব্যক্তিগতভাবেও কোনো পুরস্কার পাননি তিনি।

২০১৫ সালে আবার আগের মতো দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে কামব্যাক করেন মেসি। বার্সেলোনার হয়ে লুইস এনরিকের অধীনে এবছর লা-লিগা, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, স্প্যানিশ সুপার কাপ ও ক্লাব বিশ্বকাপ জেতার স্বাদ পান তিনি।  

২০১৬ সালে লা লিগায় মাত্র ৩৩৪ ম্যাচে ৩০০ গোল করে রেকর্ডের খাতায় আবারো নাম লেখান মেসি। এবছর বার্সেলোনার হয়ে লা লিগা, ইউরোপিয়ান সুপার কাপ ও কোপা দেল রে জিতে নেন বিশ্বসেরা এ ফুটবলার।

২০১৭ সালে বার্সেলোনার হয়ে শুধু কোপা দেল রে জিতলেও ব্যক্তিগতভাবে পারফরম্যান্সের কমতি ছিলো না মেসির। স্প্যানিশ ক্লাবটির হয়ে ৫৪ গোল করা আর্জেন্টাইন এ ফরোয়ার্ড ৫০০ গোল করার কীর্তি অর্জন করেন। তাছাড়া এল-ক্লাসিকোর সর্বোচ্চ স্কোরার হয়ে বছর শেষ করেন এ কিংবদন্তি। এবছর লুইস এনরিকের বদলে বার্সায় নতুন কোচের দায়িত্ব পান আর্নেস্তো ভালভার্দে।

২০১৮ সালেও ব্যাক্তিগত পারফরম্যান্সে উজ্জ্বল ছিলেন লিওনেল মেসি। ৫৪ ম্যাচে ৪৭ গোল করে এবারও পিচিচি ট্রফি ও গোল্ডেন বুট নিজের করে নেন এ ফুটবল যাদুকর। টানা পঞ্চমবারের মতো ইউরোপের টপ গোল স্কোরারের তকমা পেয়ে আগস্টে বার্সা অধিনায়কের দায়িত্ব নেন তিনি। জিতে নেন লা লিগা, কোপা দেল রে ও স্প্যানিশ সুপার কাপ।

২০১৯ সালে বিশ্বের প্রথম ফুটবলার হিসেবে লিওনেল মেসি জিতে নেন ষষ্ঠবারের মতো ব্যালন ডি’অর। লা লিগার টপ স্কোরার হয়ে পিচিচি ট্রফিও তার দখলে রাখেন। এবছর বার্সেলোনার হয়ে লা লিগা জিতলেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে লিভারপুলের সঙ্গে নাটকীয় এক হারে স্বপ্নভঙ্গ হয় আর্জেন্টাইন এ তারকার। এছাড়া কোপা দেল রে’র ফাইনালেও ভ্যালেন্সিয়ার সঙ্গে হারতে হয় কাতালানদের।

২০২০ সালে করোনা ভাইরাস মহামারির মাঝে অর্থনৈতিক সংকট শুরু হয় বার্সোলোনার। ক্লাবের সেরা তারকার বেতন নিয়ে ঝামেলা শুরু হলেও মেসির বিশ্বাস ছিলো কাতালানরা তাকে ছাড়বে না। ২০০৮ সালের পর প্রথমবারের মতো এবছর ট্রফিবিহীন মৌসুম কাটে বার্সার। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে হজম করতে হয় ৮-২ ব্যবধানের লজ্জাজনক হার। এবছর আগস্টে ক্লাবের সঙ্গে মেসির চূক্তি ফুরিয়ে আসতে থাকে। আর আর্জেন্টাইন এ তারকার ক্লাব ছাড়ার গুঞ্জন ছড়াতে থাকে। যদিও শেষ পর্যন্ত কাতালনরা মেসিকে যেতে দেয়নি।

২০২১ সাল বার্সেলোনার ইতিহাসে সবচেয়ে কালো অধ্যায় হিসেবে লিখিত থাকবে। গতবছর ক্লাব ছাড়ার গুঞ্জন চাপিয়ে নতুন সভাপতি হুয়ান লাপোর্তা হাসি ফেরান মেসির মুখে। সাবেক বার্সেলোনা তারকা রোনাল্ড ক্যোমান নতুন কোচ হয়ে এসে বার্সাকে ধীরে ধীরে এগিয়ে নিচ্ছিলেন। কাতালানদের হয়ে এবছর শুধু কোপা দেল রে জিতলেও আক্ষেপ ছিল না মেসির। কেননা অপেক্ষাকৃত দুর্বল দল নিয়েই লা লিগা টাইটেলে অনেকটাই এগিয়ে ছিল বার্সা। যদিও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বে এবছর যেতে পারেনি তারা।  

এদিকে এ বছরেই আর্জেন্টিনার হয়ে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক শিরোপার দেখা পান ছয়বার ব্যালন ডি’অর জয়ী এ তারকা। কোপা আমেরিকায় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলকে হারিয়ে শিরোপা বিজয়ের আনন্দে মুখর ছিলেন সাবেক এ বার্সেলোনা অধিনায়ক। কিন্তু এ আনন্দ স্থায়ী হয়নি বেশিদিন।  

বার্সেলোনা সভাপতি হুয়ান লাপোর্তা মেসিকে চুক্তি নবায়নের ব্যাপারে কথা দিলেও শেষ পর্যন্ত কথা রাখতে পারেননি তিনি। ছুটি কাটিয়ে বার্সেলোনায় চুক্তি নবায়নের উদ্দেশ্যে গেলেও খালি হাতে ফিরতে হয় ক্লাব ইতিহাসের সেরা এ তারকাকে। বার্সেলোনার অর্থনৈতীক অবস্থার চরম অবনতির কথা বিবেচনায় রেখে নিজের বেতনের ৫০% কর্তন করে হলেও ক্লাবটিতে থাকতে রাজি হয়েছিলেন এ মহাতারকা। কিন্তু লা লিগার ফিনান্সিয়াল ফেয়ার প্লে নিয়ম অনুযায়ী এতেও মেসিকে ক্লাবে রাখা অসম্ভব হয়ে পড়েছে কাতালানদের। শেষ পর্যন্ত দীর্ঘ ২১ বছরের সম্পর্ক চুকিয়ে স্প্যানিশ ক্লাবটির সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করেন বিশ্বসেরা এ ফুটবলার।  

নিঃসন্দেহে বার্সেলোনা ইতিহাসের সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি। প্রায় দুইযুগ ধরে ক্লাবটিতে এ পথচলায় অনেকদিক থেকেই সমর্থন ও সাহায্য পেয়েছিলেন তিনি। সেই ছেলেবেলার কোচ থেকে শুরু করে বর্তমান কোচ পর্যন্ত তাকে সমর্থন দিয়ে গেছেন। ক্যাম্প ন্যু’কে তিনি প্রায় নিজের ঘর বানিয়ে নিয়েছেন। আর্জেন্টাইন এ তারকার স্ত্রী-সন্তানসহ, দুই ভাই ও বাবা বার্সেলোনায় তার সঙ্গে প্রায় ২০ বছর ধরে আছেন। তাইতো বিদায়বেলায় নিজের ঘর, আবাসস্থল ছেড়ে দেয়ার কথা ভাবতেই অশ্রুশিক্ত হয়ে পড়েন এ মহাতারকা।  

বিদায়বেলায় তিনি বলেন, ‘গত কয়েক দিনে অনেক ভেবেছি, কী বলব এখানে। সত্যিটা হচ্ছে, কী বলব বুঝে উঠতে পারছি না। জীবনের এতগুলো বছর এখানে কাটানোর পর আমার জন্য এই দিনটা অনেক বেশি কঠিন। ’

এগুলো বলতেই কাঁদলেন তিনি, টিস্যু দিয়ে চোখ মুছলেন। এরপর তিনি বলেন, ‘গত বছর বুরোফ্যাক্স নিয়ে নাটকের সময় (ক্লাব ছাড়তে হলে) আমি কী বলব, সেটা ঠিক করে রেখেছিলাম। কিন্তু এ বছর সবকিছু অনেক ভিন্ন। এটা আমার ঘর, আমাদের ঘর। আমি এখানে থাকতে চেয়েছিলাম। সেটাই পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু আজ সবকিছু ছেড়ে যেতে হচ্ছে। আমি এ ক্লাবেই বেড়ে উঠেছি। আমি আজ যা, তা এখানে এসেই হয়েছি। কখনো যে এমন দিন আসবে, তা আমি ভাবতেই পারিনি। বার্সেলোনা বিশ্বের সেরা ক্লাব। ’

এরপরেই শেষবারের মতো ক্লাবকে বিদায় জানিয়ে মেসি বলেন, ‘১৩ বছর বয়সে এখানে এসেছিলাম আমি। আজ ২১ বছর পর ক্লাব ছেড়ে যাচ্ছি। আমি, আমার স্ত্রী, আমার তিন কাতালান-আর্জেন্টাইন সন্তান...। ক্লাবটাতে যা করেছি, তা নিয়ে আমি গর্বিত। ’

ইতিহাসসেরা এ ক্লাব লিজেন্ডের শেষটা হয়তো অন্যভাবেও হতে পারতো। কিন্তু বাস্তবতা হয়তো তা চায়নি। আর হয়তো ক্যাম্প ন্যু’য়ে মাঠ মাতাতে দেখা যাবে না মেসিকে। দেখা যাবে না বার্সার জার্সিতে পায়ের যাদুতে মাঝমাঠ থেকে বল ড্রিবল করতে করতে প্রতিপক্ষের জালে জড়ানো সেই দুর্দান্ত গোলগুলো। এক নতুন অধ্যায় নিয়ে শুরু হবে মেসিবিহীন বার্সার নতুন যাত্রা। মেসিও শুরু করে দিয়েছেন ক্যারিয়ারের নতুন অধ্যায়। ফুটবল এমনই, কখনো উপভোগ্য, তো কখনো অতি নিষ্ঠুর।  

বাংলাদেশ সময়: ১২১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০২১
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।