ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

ফুটবল

রোনালদোর দেশে আশ্রয় পেলেন আফগান নারী ফুটবলাররা

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২, ২০২১
রোনালদোর দেশে আশ্রয় পেলেন আফগান নারী ফুটবলাররা সংগৃহীত ছবি

তালেবান নারীদের খেলাধুলা নিষিদ্ধ করার পর অস্ট্রেলিয়ার পথ ধরে নিরাপত্তা শঙ্কায় থাকা আফগান নারী ফুটবলারদের আশ্রয় দিয়েছে পর্তুগাল।

আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর তালেবান প্রকাশ্যেই জানিয়ে দেয়, নারীদের খেলাধুলা করতে অনুমতি দেওয়া হবে না।

তাদের মতে, যেহেতু খেলাধুলার ক্ষেত্রে মেয়েদের মুখ শরীর ঢাকা থাকে না। এ কারণে তা নিষিদ্ধ। ফলে অন্য নারী ক্রীড়াবিদদের মতো নিরাপত্তা শঙ্কায় পড়ে যান দেশটির নারী ফুটবলাররাও। এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় দলের নারী ফুটবলারদের আশ্রয় দেয় অস্ট্রেলিয়া। এবার যুব নারী দলের বেশ কয়েকজনকে আশ্রয় দিয়েছে পর্তুগাল।  

গত ১৯ সেপ্টেম্বর আফগান যুব নারী দলের ফুটবলারদের কয়েকজন পরিবারসহ ১৯ সেপ্টেম্বর পর্তুগালে পৌঁছেছেন৷ পর্তুগাল মোট ৮০ জনকে আশ্রয় দিয়েছে। আফগানিস্তানের নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক ফারখুন্দা মুহতাজ নারী ফুটবলারদের পর্তুগালে নেয়ার ব্যবস্থা করেন৷ তিনি নিজে কানাডার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুটবল দলের সহকারী কোচ। ফুটবলাররা আফগানিস্তান থেকে পৌঁছানোর পর তিনি নিজে তাদের সঙ্গে দেখা করতে লিসবনে গিয়েছিলেন।

পর্তুগালে পৌঁছে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন আশ্রয় পাওয়া আফগান নারী ফুটবলাররা। তাদের একজন ১৫ বছর বয়সী সারাহ। নিজ দেশ ছাড়তে কষ্ট হলেও পর্তুগালে গিয়ে নিজেকে নিরাপদ ভাবছে সে। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর দেখা পাওয়ার স্বপ্ন দেখছে সে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সুপারস্টার উইঙ্গারের মতো সে নিজেও বড় ফুটবলার হতে চায়। আর সম্ভব হলে বড় ব্যবসায়ী হওয়ার চেষ্টাও করবে বলে জানায় সে। আবার অদূর ভবিষ্যতে নিজ দেশ আফগানিস্তানে ফিরতে চায় সে। তবে অবশ্যই মুক্ত স্বাধীনভাবে বসবাস করার অধিকার থাকতে হবে।  

এর আগে প্রফেশনাল ফুটবলার সংগঠন ফিফপ্রোর অনুরোধে গত ২৪ আগস্ট আফগানিস্তানের নারী ফুটবলার ও তাদের পরিবারসহ প্রায় ৭৫ জনকে একটি ফ্লাইটের মাধ্যমে নিজ দেশে নিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া সরকার।

২০০৭ সালে আফগানিস্তানে নারী ফুটবলের যাত্রা শুরু হয়। কিন্তু তালেবান দেশটির দখল নেওয়ায় বিপদের মুখে পড়ে তারা। ক্ষমতা লাভ করে নারী ফুটবলারদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে নিজেদের দেয়া পোস্টসহ ছবিগুলো সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেয় তালেবান। কিন্তু আত্মবিশ্বাসী হয়ে ফুটবলাররা তা করেননি, বরং ফুটবল সংস্থাগুলোর কাছে সাহায্য চেয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০২১
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।