৯৪ সেকেন্ডে চোখ ধাঁধানো শটে ভুটানের জাল কাঁপান। পুরো দলকে উচ্ছ্বাসে ভাসান সিরাত জাহান স্বপ্না।
ম্যাচের দ্বাদশ মিনিটে প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডারের বাজে ট্যাকলে পড়ে যান স্বপ্না। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে মাঠের বাইরে চলে যান এবারের আসরে চার গোল করা স্বপ্না। মাংসপেশির চোটটা এতটাই গুরুতর ছিল যে, চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি তিনি। হয়তো ভেবেছেন সাফের ফাইনাল খেলাই বুঝি শেষ হয়ে গেল। তবে চোট কাটিয়ে দলে ফিরেছেন স্বপ্না। স্বপ্নের ফাইনালের একদশে মাঠে নামছেন তিনি।
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল আর ইতিহাসের মাঝে ব্যাবধান শুধু একটি জয়ের। আজ ফাইনালে নেপালকে হারাতে পারলেই ইতিহাসের পাতায় এই দলটির নাম লেখা থাকবে স্বর্ণাক্ষরে। আগের ৫ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ ও নেপাল ৩ বার মুখোমুখি হয়েছে। তিনবারই জিতেছে নেপাল। দুই দলের প্রথম দেখা হয়েছিল ২০১০ সালে কক্সবাজারে প্রথম সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে। নেপাল জিতেছিল ৩-০ গোলে।
২০১৪ সালের সেমিফাইনালে নেপালের কাছে ১-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। সর্বশেষ দেখা হয়েছিল ২০১৯ সালে গ্রুপপর্বে। নেপাল জিতেছিল ৩-০ গোলে। আজ (১৯ সেপ্টেম্বর) ফাইনালে বাংলাদেশ জিতলে নেপালকে প্রথম হারানোর স্বাদের সঙ্গে প্রথম শিরোপা জয়ের উদযাপনও।
বাংলাদেশ একাদশ: রুপনা চাকমা (গোলরক্ষক), সাবিনা খাতুন (অধিনায়ক), শিউলি আজিম, শামসুন্নাহার, আঁখি খাতুন, মাসুরা পারভিন, মনিকা চাকমা, সানজিদা আক্ততার, মারিয়া মান্ডা, কৃষ্ণারানী সরকার, সিরাত জাহান স্বপ্না।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২
এআর/আরইউ