অবশেষে কাঙ্ক্ষিত সেই ছাদখোলা বাসে উঠল বাংলাদেশের সাফজয়ী মেয়েরা। বিমানবন্দর থেকে শুরু হয়ে তাদের যাত্রা শেষ হবে মতিঝিলের বাফুফে ভবনে এসে।
দুপুর দুইটার দিকে বিমানবন্দরে নামলেও সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে বিকেল সাড়ে ৩টা বেজে যায়। ততক্ষণে ভিআইপি টার্মিনালের বাইরে অপেক্ষমান হাজারো ফুটবলভক্ত। কেউ ফুল নিয়ে, কেউ ফোন নিয়ে সাবিনাদের অপেক্ষায়। বাইরে ব্যান্ড পার্টির বাদ্যের তালে চলেছে উচ্ছ্বাসের বিচ্ছুরণ।
এর আগে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে মেয়েদের ফুল আর উত্তরীয় পরিয়ে স্বাগত জানান যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলসহ মন্ত্রণালয় ও বাফুফের কর্মকর্তারা। এরপর সাফের শিরোপা হাতে গেট পার হতেই সাংবাদিকদের ভিড় আর জয়োল্লাসে অবাক বিস্ময় ধরা পড়ে সানজিদাদের চোখেমুখে।
মুহুর্তেই তাদের সব ক্লান্তি যেন উধাও হয়ে যায়। যদিও একটু পর সব আনন্দ উবে যায় হুড়োহুড়ি আর হট্টগোলে। অসংখ্য সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরা, বুম আর ফোন মিলে ভয়াবহ অবস্থা তখন। সাংবাদিকরা বিশৃঙ্খলা শুরু করায় বাতিল করা হয় সংবাদ সম্মেলন। ভিড় আর ধাক্কাধাক্কিতে সাবিনারা ততক্ষণে কিছুটা ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। তাদের বাইরে বের করতেই হিমশিম খাওয়ার অবস্থা
এদিকে বাইরে অপেক্ষমান ফুটবল-জনতার অপেক্ষা যেন ফুরাতেই চায় না। প্রায় দুই ঘণ্টা পর ছাদখোলা বাসে করে বাফুফে ভবনের উদ্দেশে রওয়ানা হয় সাবিনার দল। সাথে শতশত গাড়ির ভিড় প্রটোকল দেওয়া হলেও রাস্তায় তার দেখা মিললো না। রাস্তার দুই ধারে হাজারো ফুটবলভক্ত চ্যাম্পিয়নদের স্বাগত জানাতে দাঁড়িয়ে হাত নাড়ছেন।
কেউবা ব্যানার নাড়াচাড়ার পাশাপাশি ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিচ্ছেন। অনেকে ছুটছেন গাড়ি লক্ষ্য করে। ফুটওভার ব্রীজগুলো গিজগিজ করছে শতশত মানুষের ভিড়ে। হাত নাড়িয়ে তাদের অভিবাদন গ্রহণ করছে ১৯ বছর পর দেশকে দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট দেওয়া মেয়েরা।
এত ভালোবাসা আর আবেগ যে তাদের অভিভূত করেছে, তা তাদের হাত নাড়ানো আর মুখের হাসিতেই ফুটে উঠছে। কেউ কেউ তো সেলফি তুলতেও ব্যস্ত। এদিকে ফাইনালে জোড়া গোল করা কৃষ্ণা রানি সরকার দেশের মাটিতে পা রেখেই নিজের ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘বাংলার বাতাস গায়ে লেগেছে অনেকদিন পর। ’ সবমিলিয়ে আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হয়। বাকি পর্বের অপেক্ষা বাফুফে ভবনে।
বাংলাদেশ সময় : ১৫৪৮, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২২
এমএইচএম/এআর/এমএইচবি