শক্তি-সামর্থ্যের বিচারে পর্তুগালের চেয়ে অনেকটাই পিছিয়ে ঘানা। তাই রক্ষণকে কেন্দ্র করেই কৌশল সাজান ঘানা কোচ ওত্তো আদো।
তবে হতাশায় পুড়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। তার মিসেই শেষ পর্যন্ত গোল ছাড়া বিরতিতে যায় পর্তুগাল। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ফেলে বাজে ফর্ম, জাতীয় দলেও যে পিছু নিয়েছে তা নিয়ে কোনো সন্দেহ থাকার কথা নেই। নইলে গোলকিপার একা পেয়েও তিনি জালের ঠিকানা খুঁজে নিতে পারবেন না তা কি হয়!
ম্যাচ শুরুর মাত্র ১০ মিনিটেই সহজ সুযোগটা পেয়ে যান রোনালদো। বের্নার্দো সিলভার বাড়িয়ে দেওয়া বলে ছোঁয়া লাগালেও তা দৌড়ে এসে ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দেন ঘানা গোলরকক্ষ লরেন্স আতি জিগি।
১৩ মিনিটে কর্ণার থেকে আসা বলে রোনালদো লাফিয়ে উঠে হেড করলেও, তা পোস্টের অনেক বাইরে দিয়েই চলে যায়। ৩৩ মিনিটে তার পা থেকেই গোল পায় পর্তুগাল। কিন্তু এখানেও রোনালদো নিজেই ভুলটা করে বসেন। বল পাওয়ার আগে এই ফরোয়ার্ড ডি বক্সে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন ঘানা ডিফেন্ডার জিকুকে। তাই রেফারীও গোলের পরিবর্তে ফাউলের বাঁশি বাজান।
বাকিটা সময় দুই প্রান্ত থেকে একের পর এক আক্রমণ চালায় পর্তুগাল। ব্রুনো ফার্নান্দেস, জোয়াও কান্সেলো, সিলভা, জোয়াও ফেলিক্স নিয়ে গঠিত সোনালী প্রজন্ম সেভাবে হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারেননি। কোনো বিপদের সম্ভাবনা জেগে উঠার আগেই তা দূরে সরিয়ে দেয় ঘানার ডিফেন্ডাররা। শেষ দিকে অবশ্য পর্তুগালের দুর্গেই বেশ কয়েকবার হানা দেয় আফ্রিকান দলটি। কিন্তু গোলের তালা ভাঙতে পারেনি।
বাংলাদেশ সময়: ২২৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০২২
এএইচএস