প্রথমার্ধে খুঁজেও পাওয়া যাচ্ছিল না ব্রাজিলের নাম্বার নাইনকে, বিরতির পর দেখালেন চমক। বল পেলেন, নিয়ন্ত্রণে নিলেন, ড্রিবল করলেন, জালে জড়ালেন।
মরুর বুকে বিশ্বকাপ, আসরের প্রথম ম্যাচেই ফুল ফুটিয়েছেন ব্রাজিলের রির্চার্লিশন। জাতীয় দলের জার্সিতে যিনি দুর্দান্ত। টটেনহ্যাম হটস্পারের সেই তারকাই নিজের যোগ্যতার জানান দিয়েছেন। ব্রাজিলকে তো শুরুতে এগিয়ে দিলেন বটেই। দ্বিতীয় গোলে কিছুক্ষণের জন্য স্তব্ধ করে দিলেন পুরো বিশ্বকে। ৭৩তম মিনিটে বাইসাইকেল কিকে যে বল তিনি জালে জড়ালেন। নিঃসন্দেহে বিশ্বকাপের সেরা গোলগুলোর একটি এটি।
বৃহস্পতিবার রাতে লুসাইল স্টেডিয়ামে ‘জি’ গ্রুপের ম্যাচে সার্বিয়াকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করে ব্রাজিল। ম্যাচে দুইটি গোলই আসে টটেনহ্যাম স্ট্রাইকার রিচার্লিসনের পা থেকে। আর দুই গোলেই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন রিয়াল মাদ্রিদের তরুণ ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়ুস জুনিয়র।
প্রথমার্ধে ব্যর্থ কয়েকটি আক্রমণের পর দ্বিতীয়ার্ধে গিয়ে যেন ব্রাজিল হয়ে ওঠে বিধ্বংসী। একের পর এক আক্রমণে সার্বিয়ার রক্ষণভাগে কাঁপুনি ধরিয়ে দেয় সেলেসাওরা। ৬২তম মিনিটেই কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায় তারা। পায়ের জাদু দেখিয়ে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারদের বোকা বানিয়ে বল নিয়ে বক্সে প্রবেশ করেন নেইমার। সেখানেই পাস দেন ভিনিসিয়ুসকে। তার শট ঝাপিয়ে ঠেকিয়ে দেয় সার্বিয়ার গোলরক্ষক; কিন্তু নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেননি বল। ফিরতি বল দুর্দান্ত এক শটে জালে পাঠান রিচার্লিসন।
এখানেই থেমে যাননি এই সাম্বাবয়। ৭৩তম মিনিটে আরও একটি গোল করেন। তবে এটি ছিলো স্পেশাল। বাঁ দিক থেকে ভিনিসিয়ুসের দেওয়া পাস বক্সেই রিসিভ করেন টটেনহ্যাম স্ট্রাইকার। বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে শরীরকে শূন্যে ভাসিয়ে দুর্দান্ত এক বাইসাইকেল কিকে জাল খুঁজে নিয়ে চমক দেখান তিনি। মুহূর্তের জন্য স্তব্ধ করে দেন সবাইকে। এভাবেও গোল হতে পারে!
স্বপ্নের অভিষেকে ব্রাজিলকে জেতালেন রিচার্লিসন। পুরস্কারও পেলেন তিনি। নির্বাচিত হলেন ম্যাচসেরা হিসেবে। জাতীয় দলের জার্সিতে তিনি যে দুর্দান্ত আবারও প্রমাণ করলেন। সবশেষ সাত ম্যাচে তরুণ এই স্ট্রাইকারের গোল সংখ্যা দাঁড়ালো এখন ৯-এ।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২২
আরইউ